উন্নত চিকিৎসার জন্য ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে বিদেশে যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পবিত্র ওমরাহ পালনের পর প্রথমে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। এ জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে ‘বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট’ দিয়েছেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে দু-তিনটি দেশে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রেও নেওয়া হতে পারে। সে জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তারা আরও জানান, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১২ অথবা ১৩ ডিসেম্বর তিনি যাত্রা শুরু করতে পারেন। তাঁর সঙ্গে চিকিৎসকসহ ১৭ জন সফরসঙ্গী থাকবেন। যাওয়ার পথে সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করার কথা রয়েছে তার। সবশেষ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হজ পালন করেন তিনি। এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ওমরাহ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির সরকার। গতকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে পাজেরো জিপে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে প্রবেশ করেন বেগম খালেদা জিয়া। দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাঁকে স্বাগত জানান। তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসক মোহাম্মদ মামুন।বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে বিমানে ভ্রমণের মতো শারীরিক ফিটনেস বেগম খালেদা জিয়ার রয়েছে। তবে ঝুঁকি এড়াতে তাঁর সফরে ছয়জন চিকিৎসক থাকবেন। যুক্তরাজ্যের ভিসা ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার কাজ এখনও শেষ হয়নি। দলীয় সূত্র জানায়, আগামী শনিবার লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ১১ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন। এর পর বেগম জিয়া লন্ডনে যাবেন।
উল্লেখ্য, ৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁকে দীর্ঘ সময়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।