বগুড়া শহরের গালাপট্রিতে দোকানঘর দখলের প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নুরে জান্নাত ফেরদৌসী নামের নারী। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “ আমি অতিব দূঃখ ও ভারাক্রান্ত মন নিয়ে যানাচ্ছি যে, গত শুক্রবার ২২/১১/২০২৪ইং তারিখে আমার বিরূদ্ধে এই প্রেসক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন মোঃ মোজাম্মেল হক রঞ্জু, যুবলীগের দূধূর্য ক্যাডার মোঃ হৃদয় আহম্মেদ তুষার ও মোঃ এহসান রাজিব সহ ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরগণ। সেখানে আমার বিরূদ্ধে কাল্পনিক, মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেন। দেশের রাজনৈতিক পঠ পরিবর্তনের সাথে সাথে ২০১০ সালে মোঃ মোজাম্মেল হক রঞ্জু ও তার ছেলে মোঃ হৃদয় আহম্মেদ তুষার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে আমার স্বামী মোঃ নূর হোসেন খলিফা কমলের গলাপট্টিস্থ দোকান ঘরটি দখল করে নেয়। এই বিষয়ে আমার বক্তব্য হচ্ছে এই জমির মালিক মৃত-আব্দুল কুদ্দুস খলিফা ২৪/০৫/২০০৭ ইং তারিখে আমার স্বামী মোঃ নূর হোসেন কমলকে রেজিস্ট্রি দলিল করে দেয়। উক্ত দোকান ঘরটি আমার স্বামী ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে ২০০৯ ইং সালে ঋণ গ্রহন করেন। এই দোকান ঘর ও ব্যাংকের মরগেজকে চ্যালেঞ্জ করে আমার ভাগী-শরিক ও দখলদার মোঃ মোজাম্মেল হক রঞ্জু আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত আমার স্বামী মোঃ নূর হোসেন খালিফা কমলকে মালিক হিসাবে ও ব্যাংক মরগেজকে বৈধ ঘোষনা করে তাদের করা পিটিশনকে খারিজ করে দেয়। অর্থাৎ ঐ দোকানের বৈধ মালিক আমার স্বামী মোঃ নূর হোসেন খলিফা কমল। ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলে আমার স্বামী ব্যাংকে ঋণ খেলাপি হয়ে যায়। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করার জন্য উক্ত দোকান ঘর বিক্রি করা ছাড়া কোন বিকল্প পথ নেই। আমি বিভিন্ন সময়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে দখল ছেড়ে দিতে বলি, এতে কাজ না হলে বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। গত ১০/১১/২০২৪ ইং তারিখে সদর থানা উভয় পক্ষকে ডাকলে উভয় পক্ষ উপস্থিত হই। যেখানে আমার স্বামীর পক্ষে সকল বৈধ কাগজপত্র থানার সংশ্লিষ্ট অফিসারকে দেখাতে সক্ষম হই। অন্যদিকে মোঃ মোজাম্মেল হক রঞ্জু ১৫০ টাকার একটি ভুয়া চুক্তিপত্র দেখালে থানা কর্তৃপক্ষ তাকে আরো কোন বৈধ কাগজপত্র থাকলে ১৮/০৪/২০২৪ তারিখে বিকাল ৩টায় উভয় পক্ষকে পুনরায় উপস্থিত হতে বলে। আমি উক্ত ১০/০৪/২০২৪ তারিখে যথা সময়ে উপস্থিত হলেও মোঃ মোজাম্মেল হক রঞ্জু উপস্থিত হয়নি। আমি আমার বৈধ কাগজপত্র সহ দোকানের দখল নিতে গেলে মোঃ মোজাম্মেল হক রঞ্জু ও তার ছেলে মোঃ হৃদয় আহম্মেদ তুষার আমাকে হত্যার হুমকি দেয় এবং এক পর্যায়ে মোঃ হৃদয় আহম্মেদ তুষার তার কোমরে থাকা পিস্তল দেখিয়ে আরো অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা চুরান্তভাবে হত্যার হুমকি দিলে আমি প্রাণভয়ে পালিয়ে চলে আসি। আমি আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়, র্যাব-১২ বগুড়ার সিও মহোদয় ও বগুড়ায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত আর্মির কর্তৃপক্ষের কাছে বিনয়ের সাথে অনুরোধ জানাচ্ছি যে, দখলবাজ, মামলাবাজ মোঃ মোজাম্মেল হক রঞ্জু ও তার ছেলে যুবলীগের সশস্ত্র ক্যাডার মোঃ হৃদয় আহম্মেদ তুষার ও মোঃ এহসান রাজিব সহ অন্য সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”