রাজশাহী: জি২০ সম্মেলনে ২০২৪ সালের মূল প্রতিপাদ্য “একটি ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব এবং টেকসই পৃথিবী গঠন” ধারণ করে রাজশাহীতে একটি ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে পরিবর্তন, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (ক্লিন) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি)। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তারা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়। এ সময় বক্তব্য দেন, পরিবর্তন পরিচালক রাশেদ রিপন, প্রোগ্রাম অফিসার সোমা হাসান, সংবাদিক আজহার উদ্দিন, সজল মাহামুদ। ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করা। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট এবং এলএনজি ও কয়লা আমদানির ফলে ঋণের চাপ বৃদ্ধি, পাশাপাশি এসব জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে সৃষ্ট কার্বন নির্গমনের বিষয়গুলো উঠে এসেছে আলোচনায়। আয়োজকরা জি২০ নেতৃবৃন্দকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জীবাশ্ম জ্বালানি বিনিয়োগের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো সমাধানের জন্য আহ্বান জানান এবং টেকসই উন্নয়নে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য অর্থনৈতিক নীতি পরিবর্তনের দাবি তোলেন। “আমরা আর জীবাশ্ম জ্বালানির বোঝা বহন করতে পারি না, কারণ এটি আমাদের পৃথিবী এবং জনগণের জন্য ক্ষতিকর,” বলেন পরিবর্তনের নির্বাহী পরিচালক রাশেদ রিপন। “বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং বিনিয়োগকারীদের উচিত জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে সৃষ্ট জলবায়ু ঋণের দায়িত্ব স্বীকার করে বাংলাদেশ ও বিশ্বজুড়ে টেকসই উন্নয়নের সমাধানে এগিয়ে আসা।” পরিবর্তন, ক্লিন এবং বিডব্লিউজিইডি এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে জি২০ প্রতিনিধিদের জানাতে চায় যে জীবাশ্ম জ্বালানি বিনিয়োগের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চাপ এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। তারা আশা করে যে জি২০ নেতৃবৃন্দ এমন নীতি গ্রহণ করবেন যা নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নকে সমর্থন করে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবার জন্য একটি ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে অবদান রাখবে।