আদালত অবমাননা করে নামজারি আবেদন নং ৬৩৪০৩২৮, কেস নং ২৩৩০ নামঞ্জুর করার কারনে বগুড়া শাজাহানপুর থানার এসি ল্যান্ড জান্নাতুল নাইম ও সুলতানগঞ্জের তহশিলদার রজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবিতে প্রবাসী ব্যারিষ্টার মোঃ আখতার মাহমুদের পক্ষে শনিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন হাফেজ রকিবুল ইসলাম। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “জেলা বগুড়ার সদর থানাধীন চকফরিদ মৌজাস্থ সিএস ৮৮ নং খতিয়ান এম আর আর ৯৩ নং খতিয়ানভুক্ত ১৬ শতক সম্পত্তি নিয়ে আমার পিতামাতা বাদী হইয়া বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালতে ৫১/৯৪ নং বন্টন মোকদ্দমা করলে উক্ত ১৬ শতক সম্পত্তি বাবদ আদালতের ডিক্রী প্রাপ্ত হয়ে এডভোকেট কমিশনার যোগে দখলপ্রাপ্ত হয় এবং তৎপ্রেক্ষিতে ফাইনাল ডিক্রি প্রাপ্ত হয়। তৎপর দরখাস্তকারীর মাতার প্রাপ্ত ৭.৫০ শতক সম্পত্তি দরখাস্তকারী ব্যারিষ্টার আখতার মাহমুদ বরাবর হেবার ঘোষণামূলে হস্তান্তর করে আদালতের মাধ্যমে দখল বুঝিয়ে পাই। পরবর্তীতে আমার পিতা ৮.৫০ শতক সম্পত্তিতে স্বত্ব দখল পরিচালনা করা অবস্থায় মারা গেলে স্ত্রী আকতামা বেগম ২ পুত্র দরখাস্তকারী ব্যারিষ্টার আখতার মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ মাহমুদ ২ কন্যা রওশন জাহান ও রাফিয়া আনজুম পাপিয়া ওয়ারিশ থাকে। দরখাস্তকারী উক্ত সম্পত্তি বিষয়ে এসি ল্যান্ড বরাবর খারিজ আবেদন করলে প্রতিবেদন ও প্রস্তাবের জন্য সুলতানগঞ্জ তহশিলদার মোঃ রজিবুর রহমান বরাবর প্রেরণ করলে দরখাস্তকারীর প্রতিনিধিকে সম্পত্তির কাগজাদী নিয়ে তহশিল অফিসে আসতে বলেন। দরখাস্তকারী লন্ডন প্রবাসী হওয়ায় তার পক্ষে নিযুক্ত এডভোকেট সম্পত্তির মালিকানার সকল কাগজাদী ও ৫১/৯৪ বন্টন মোকদ্দমার রায় ও ডিক্রীর কপি প্রদর্শন করলেও তা আমলে না নিয়ে অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে প্রথম দফায় এডভোকেটকে অনুপস্থিত দেখিয়ে এবং মালিকানা প্রমাণিত হয়নি ও দলিলের ধারাবাহিকতা নাই উল্লেখ করে খারিজ আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। বস্তুতঃ ৫১/৯৪ বন্টন মামলার মাধ্যমে জমি পাওয়া। মালিকানা ও দলিলের ধারাবাহিকতা আদালত ফয়সালা করে দিয়েছে। এ আদেশ সকলের উপর বাধ্যকর। সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত নিশ্চত করেছে জমির মালিকানা নিষ্কন্টক। তথাপি এ অফিসারেরা আদালতের আদেশ অমান্য করে আইন ভঙ্গ করেছে। তারা ভুল করে এমন কাজ করেছে ভেবে ২য় বার আবেদন করলে বিনা শুনানীতে এ অফিসারেরা খারিজ নামঞ্জুর করে। পক্ষান্তরে ৫১/৯৪ মামলায় সাহাম পায়নি এমন ব্যাক্তিকে খারিজ করে দেয়। আমি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সৃষ্ট খারিজ বাতিলে আবেদন করা হলে তাতে মামলা নম্বর বা শুনানীর তারিখ দুই মাসেও দেয়নি এ এসিল্যান্ড ও তহশিলদার। উল্লেখ্য আমাদের ১৬ শতক জমির মাঝের সোয়া চার শতক জমিতে বসবাসকারী বিহারিদের উচ্ছেদের বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান। এমতাবস্থায় ভূমি দস্যুরা মোট ১৬ শতক জমির ২.৫ শতকে থাকা আমার বাড়ি ব্যাতিত পুরা জমি দখলের নানাভাবে চেষ্টা করছে। ভূমিদস্যুরা রাতের আধারে দখল করতে গেলে ভূমি অপরাধ আইনে মামলা করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর বর্তমান সরকার যেখানে সর্বসাধারণের সকল কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছে সেখানে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যহত করতে একজন প্রবাসী রেমিটেন্স আর্নার সাংবাদিক ও ব্যারিষ্টারকে হয়রানি করতে এবং ভূমিদস্যুদের সহায়তা করতে এ সরকারী কর্মকর্তারা পিছুপা হননি। আরো উল্লেখ্য, দেশের খারাপ পরিস্থিতির সুযোগে ৫ তারিখ রাতে মুখোসধারীরা অস্ত্র হাতে বাড়ি দখল করতে যায়। তারা ইতিপূর্বে রাস্তা দখল, তিনাটা বড় গাছ কেটে জমি দখল করেছে। ভাড়াটেদের হুমকি ধামকি দিয়ে আমার জমিতে আমার শান্তিপূর্ণ বসবাস প্রায় অসম্ভব করে ফেলেছে। এ বিষয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ দৃশ্যমান কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। পুলিশ যাতে ব্যাবস্থা নেয় এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইজির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অন্যায় ভাবে খারিজ আবেদন অভিযুক্তরা নামঞ্জুর করে আমার সাংবিধানিক অধিকার “সম্পদের অধিকার” থেকে বঞ্চিত করে এ কর্মকর্তারা সংবিধান লংঘন করেছে। আদালতের আদেশ ৫১/৯৪ মামলার রায় অমান্য করে দুষ্কৃতকারীকে খারিজ করে দেয়া, খারিজ বাতিল আবেদন গ্রাহ্য না করা, আদলতের রায় অমান্য ও গোপন করে এ ব্যাক্তিদ্বয় আদালত অবমাননা ও গুরুতর অপরাধ করেছে। উল্লেখ্য ভূমিদস্যুতার কারনে ও ভূমি অপরাধ আইনে দায়ের করা মামলার আসামি সুমন/মাসুদরানার দলিলে মিথ্যা তথ্যে, মিথ্যা চৌহদ্দি, নকশা, বন্টন মামলার তথ্য গোপন করা হয়েছে। ফাকা জমিকে টিনের ঘর বলা খারিজ দেয়া হয়েছ। মার্চ-এপ্রিলে আমি দেশে থাকার সময় পেশি শক্তির বলে আমার জমি দখল করতে আসলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ সমস্যার সমাধানে মার্চ-এপ্রিলে ২০২৪ এ খাজনা খারিজ পরিশোধে সুলতানগঞ্জ তহশিল অফিসে গেলে তহশিলদার আমাকে তিন শতক জমি প্রভাবশালী প্রতিবেশীকে (আওয়ামী ভূমিদস্যু মঞ্জুরুল আলম মোহনের ক্যাডার সেলিম; ফ্যাসিষ্টের পতনে উভয়ে পলাতক) ছেড়ে দিতে বলে। জমি না দিলে প্রাণ থাকবেনা বলে তিনি এ কথাও বলেন মাথা চান না জমি চান। প্রাণনাশের হুমকির কথা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। হুমকি দেবার মতো শক্তির উৎস ফ্যাসিষ্ট আওয়ামিলীগ। এ সংগঠনের সাথে যুক্ত মাফিয়ার ব্যাক্তিদের সাথে তহশিলদার, সাবেক ছাত্রলীগ এসি ল্যান্ডের যোগসাজোসের তদন্তের দাবি করছি। দাবি করছি তাদের ও তাদের পরিবারে সকল সদস্যের স্থাবর অস্থাবর সম্পদের হিসাব করার। আন্তর্জাতিক আইনে সম্পত্তির অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে সুরক্ষিত করা হয়েছে, বিশেষ করে সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা (ধারা ১৭) এবং ইউরোপীয় কনভেনশন অন হিউম্যান রাইটস প্রোটোকল ১, ধারা ১ এর মতো চুক্তিসমূহ মতে ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে ইচ্ছাকৃত বা অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা মানবাধিকার লংঘন। আমার জমি অন্যকে জালিয়াতি করে খারিজ করে দিয়ে খারিজ বাতিলের আবেদন ঝুলিয়ে রেখে আমার জমির খারিজ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভূয়া অজুহাতে নামঞ্জুর করে এ অফিসারেরা আমার মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার লংঘন করেছে।”