সংঘাতময় রাজনীতিতে দেশের উন্নয়ন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘সংবিধান সংস্কার’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। মঈন খান বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের ছাত্র-জনতার বিপ্লব পরস্পর বিরোধী নয়। এগুলো একটি অপরটির পরিপূরক মাত্র। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যদি আমরা বিষয়গুলোকে পর্যালোচনা করি, তাহলে সেখানে কিন্তু কোনো সংঘাতের প্রয়োজন নেই। আজ স্বাধীনতার প্রায় ৫৩ বছর পরে এসে আমরা যেখানে উপনীত হয়েছি, সেখানে আমাদের স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে হবে, সংঘাতময় রাজনীতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে না। তিনি বলেন, সংবিধানের জন্য জনগণ নয়, জনগণের জন্য সংবিধান। এই কথাটি যদি আমরা অন্তর থেকে বিশ্বাস করি, তাহলে আজ যে প্রশ্নটি এসেছে, সংবিধান পুনর্লিখন অথবা সংশোধনের মধ্যে আমি কোনো সংঘাত দেখতে পাই না। কারণ আমাদের মূল উদ্দেশ্য তো সংবিধান নয়, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণ। কাজেই জনগণের কল্যাণের জন্য যা কিছু প্রয়োজন আমরা সেটাই তো করব। প্রয়োজনে সংবিধান পুনর্লিখন অথবা সংশোধন করব। এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। ড. মঈন বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম তৈরি করা, যে সিস্টেমের মাধ্যমে আমরা একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা সৃষ্টি করব, যে রাষ্ট্রব্যবস্থা জনগণের জন্য মঙ্গলজনক হবে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি কল্যাণরাষ্ট্র সৃষ্টি করা। সেই কল্যাণরাষ্ট্র সৃষ্টি করার জন্য যে কাজগুলো করা প্রয়োজন, সেই কাজগুলো আমরা করব। সেটা যেই পদ্ধতিতেই হোক না কেন। আমি মনে করি, আমাদের উদ্দেশ্য যদি সঠিক হয়, সৎ হয় এবং সত্যিকার অর্থে যদি আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করতে চাই, তাহলে পদ্ধতি কোনো বাধা হয়ে থাকতে পারে না। সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেই নির্বাচন সবাই আনন্দের সাথে গ্রহণ করে পারবে। এই রকম একটি নির্বাচনে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, দেশে গণতন্ত্রের একটি মূল্যবোধ আসবে। এটার ওপর দাঁড়িয়ে আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশ তৈরি করতে পারবো। তার মানে মূল কাজ হচ্ছে নির্বাচন করতে হবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম প্রমুখ।