1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
প্রতিবন্ধী তিন মেয়ে নিয়ে চন্দনের মানবেতর জীবন - Uttarkon
রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভারতীয় দূতাবাসে আগামীকাল স্মারকলিপি দেবে বিএনপির ৩ সংগঠন দেশের প্রতিটি কোণে ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে হবে : প্রধান বিচারপতি ভারতের সাথে ‘নতজানু’ পররাষ্ট্রনীতি নয় : সাবেক সেনা সদস্যরা ভারতে ৩ মুসলমান শিশু-কিশোরকে বেধড়ক মারধর করে বলানো হলো ‘জয় শ্রীরাম’ আগামী বছর নির্বাচিত সরকার দেখব : ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান: বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীনদের খোঁজ-খবর নিলেন তারেক রহমান আদমদীঘিতে মাদক ও নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় নারীসহ গ্রেপ্তার-৭ জহুরা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৮৩ জন নারী-পুরুষের মাঝে লেপ বিতরণ বগুড়ায় প্রতিবন্ধী সেবা সংস্থা কার্যালয় পরিদর্শন বগুড়া আইন কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাড. আল মাহমুূদ ইন্তেকাল: দাফন সম্পন্ন

প্রতিবন্ধী তিন মেয়ে নিয়ে চন্দনের মানবেতর জীবন

  • সম্পাদনার সময় : সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৬ বার প্রদশিত হয়েছে

পাঁচবিবি জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ তিন বোন পুতুল (২২), সোহাগী (১৭) ও দিপা (১৪)। তিনজনই জন্ম থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী। নিজেদের খাওয়া গোসল সহ প্রয়োজনীয় কাজটুকুও করতে পারে না তারা । সবকিছুই করে দিতে হয় বাবা-মাকে। এমন অবস্থায় প্রতিবন্ধী তিন মেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ছাতিনালী গ্রামের বাসিন্দা চন্দন- দিপালী দম্পতি । চন্দন হরিজন সম্প্রদায়ের লোক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর আগে ছাতিনালী বাজারের পাশে এক ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করার সময় তিন সন্তানের জন্ম হয়। পরে তিন সন্তান ও স্ত্রী সহ ৫ জন ঐ ঘরে বসবাস করছে চন্দন।  সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী চন্দন তার গ্রামের পাশেই ছাতিনালী বাজার ঝাড়ু দিয়ে, আর মানুষের বাড়িতে টয়লেট পরিষ্কার করে যা পান তা দিয়েই সংসার চালান। চন্দনের স্ত্রী দিপালী বলেন, আমার তিন সন্তানই ছোট থেকে মানসিক প্রতিবন্ধী। তারা কেউই কিছু বোঝে না, শুধু হাঁটা-চলা করতে পারে। সবকিছু আমাদেরকেই করে দিতে হয়। চন্দন বলেন, লালমনিহাট থেকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবির ছাতিনালী গ্রামে পুকুর পাড়ে একটি ঘরে বসবাস শুরু করি। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টয়লেট পরিষ্কার আর ছাতিনালী বাজার পরিষ্কার করে যা পাই তা দিয়ে সংসার চালাই। সামান্য অর্থে সংসার চালানো খুবই কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর উপর রয়েছে তিন প্রতিবন্ধী মেয়ে । চন্দন বলেন, আমাকে যদি কোনো ব্যক্তি কিংবা সরকার একটি মাথা গোঁজার জায়গা বা ঘর করে দিতেন তাহলে আমি সেখানে পরিবার নিয়ে থাকতে পারতাম। ছাতিনালী গ্রামের বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম বলেন, চন্দন আমাদের এখানে অনেকদিন আগে থেকেই বসবাস করেন। তিন মেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টে আছেন তিনি। তিনজনকেই সবকিছু করে দিতে হয়। এরা অনেক দুস্থ-অসহায়, তাদের দেখার কেউ নেই। চন্দনের প্রতিবেশী মাহবুব আলম বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই তাদের ঘরে পানি পড়ে। বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী চন্দনের তেমন কাজকর্ম না থাকায় কষ্টেই জীবনযাপন করছে তারা। অর্থের অভাবে মেয়েদের চিকিৎসাও করাতে পারে না চন্দন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি সবেমাত্র যোগদান করেছি। সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা আসলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies