বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করতে আসবে অত্যন্ত সজাগ ও সচেতন থেকে তাদের যেকোনো ষড়যন্ত্র আমাদেরকে রুখে দিতে হবে।’ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষে র্যালি-পূর্ব সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতা সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সেদিন পরাজিত করেছিল ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদকে। সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ৭ নভেম্বর ছিল গণতন্ত্র মুক্তির দিন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিন, আধিপত্যবাদকে পরাজিত করার দিন। এদিন নতুন বাংলাদেশের ইতিহাস, স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠার দিন।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৭ বছর পরিকল্পিতভাবে দেশের সব রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। দেশকে করেছিল একটি মাফিয়া রাষ্ট্র। তাদের সহযোগীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ফোকলা করে দিয়েছে। ওরা আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম করেছে। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছিল পতিত আওয়ামী লীগ সরকার।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০২৪ সালে জনগণ আরেকটা অভ্যুত্থান দেখেছে। এই অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়েছে। কিন্তু তার দোসররা এখনো রয়েছে। যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করতে আসবে অত্যন্ত সজাগ ও সচেতন থেকে তাদের যেকোনো ষড়যন্ত্র আমাদেরকে রুখে দিতে হবে। এখানে গণতন্ত্র ছাড়া ফ্যাসিবাদ সুযোগ পাবে না। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করবো।’ বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোহাম্মদ শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, শ্রমিক দলের সমন্বয়কারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।