বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেছেন, ৭ই নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অভূতপূর্ব অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ই নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত। স্বাধীনতাত্তোর রাষ্ট্রীয় অনাচার, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, তৎকালীন ক্ষমতাসীন মহল নিজ স্বার্থে জাতীয় স্বাধীনতাকে বিপন্ন ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে দেশকে ঠেলে দেয়। শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্যই গণতন্ত্রবিনাশী কর্মকান্ড শুরু করে। সেজন্য মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যার মাধ্যমে দেশে একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। শুরু হয় নির্মম একদলীয় দুঃশাসন। দেশে নেমে আসে অশান্তি ও হতাশার কালো ছায়া। বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকারগুলোকে হরণ করে। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১২টায় বগুড়ার আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠে র্যালী পূর্বে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সামাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক আহব্বায়ক ও সাবেক এমপি গোলাম মোঃ সিরাজ, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশাররফ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, মাহাবুবর রহমান হারেজ, জেলা বিএনপির নেতা ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির, এমআর ইসলাম স্বাধীন, এ্যাড. আব্দুল বাছেদ, এম মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম, কেএম খাইরুল বাশার, জাহিদুল ইসলাম হেলাল, জেলা বিএনপির নেতা এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, তৌহিদুল আলম মামুন, শেখ তাহা উদ্দিন নাঈম, বগুড়া শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা মহিলা দলনেত্রী অ্যাডভোকেট শাহাজাদী, সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান শুভ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব মমি, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ময়নুল ইসলাম বকুলসহ বিএনপির ও অঙ্গদলের নেতৃবৃন্দ। বাদশা আরো বলেন, ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নতজানু নীতির কারণেই আমাদের আবহমানকালের কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর চলেছিল বাধাহীন আগ্রাসন। তাই আমি মনে করি ৭ই নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের পথচলাকে অবারিত এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি। সমাবেশ শেষে বগুড়ার আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠ থেকে বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে বর্নাঢ্য র্যালী বের হয়। র্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিএনপির দলীয় কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ব্যানার ও ফেস্টুনসহ র্যালীতে যোগদেন। এ সময় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের েেস্লাগান দেন, ‘লাল সবুজের পতাকায়, জিয়া তোমায় দেখা যায়’, ‘বাংলাদেশের অপর নাম জিয়াউর রহমান’, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া লও লও, লও সালাম’, ইত্যাদি।