বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন বগুড়া জেলা পাঠচক্র ফোরামের উদ্যোগে আজ বিকালে সাতমাথায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের জেলা সমন্বয়ক আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য কমরেড বেলাল চৌধুরী, কমরেড ওবায়দুল্লাহ মুসা, জেলা পাঠচক্র ফোরামের সদস্য আব্দুল হাই, রঞ্জন কমার দে। বক্তারা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খার পরিপূরক বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন ও সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য আন্দোলন সংগ্রাম অব্যহত রাখতে হবে। গণ প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারের শিরমনী খুনি হাসিনা পালিয়ে গেলেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়নি! শুধু ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। বর্তমান অন্তবতীকালীন সরকার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে পারেনি, চাঁদাবাজি বন্ধ করতেও পারেনি, চাল-ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও সব্জি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারেনি। ঘুষ-দুর্নীতি-অনিয়ম বন্ধ করার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। সবার জন্য বিনা পয়সায় শিক্ষা-চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কোন পরিকল্পনা বা ভাবনা দেখছিনা এবং সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থারও কোনো উন্নতি হয়নি ও বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা দেখছিনা। ছাত্র- জনতার গণঅভ্যুত্থান কোনভাবেই কোন একক গোষ্ঠীর স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। অবিলম্বে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে চাল, ডাল, তেলসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মুল্য কমাতে হবে। শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য আর্মিরেটে রেশন প্রদান ও সকল বয়স্ক বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মাসিক ১০ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদানের দাবি করেন। বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য বন্ধ সকল পাটকল, চিনিকল আধুনিকায়ন করে চালু করাসহ নতুন নতুন শিল্প কারখানা তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং সরকারি সকল দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্যপদে নিয়োগ দেয়ার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানান। বেকারদের চাকরি না হওয়া পর্যন্ত মাসিক ১০ হাজার টাকা বেকার ভাতা প্রদানেও দাবি করেন। বক্তাগণ গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপূরক বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন ও সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য ঐক্যবদ্ধ লড়াই-সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।