জুলাই গণ অভ্যুত্থানের ৩ মাস পূর্তিতে জাষ্টিস ফর জুলাই বগুড়া জেলা শাখার উদ্দ্যেগে আলোচনা সভা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বগুড়ার প্রাণকেন্দ্র সাতমাথার মুক্তমঞ্চে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় শত-শত মানুষ আলোকচিত্র প্রদর্শন অধির আগ্রহে মনযোগ সহকারে উপভোগ করেন। এসময় সৈরাচারি হাসিনা ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী পলকের বক্তব্যে স্ক্রীনে ভেসে উঠলে দর্শকরা চরম ক্ষোভের এক পর্যায়ে প্রজেক্টরের স্ক্রীনেই জুতা নিক্ষেপ করতে শুর করে। এছাড়া ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিভিন্ন মিছিল মিটিং আসলে করতালি ও বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে মুখরিত করে তোলে সাতমাথা এলাকা। তবে পুলিশ ও আওয়ামী ক্যডারদের গুলিতে ছাত্র জনতার আহাজারী হত্যা ও বর্বর নির্যাতনের দৃশ্য পর্দায় ভেসে উঠলে দর্শকদের অনেকেই কান্না করতে থাকে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ছাত্র জনতার আন্দোলনে কনিষ্ট শহীদ রাতুলের গর্বিত পিতা মোঃ জিয়াউর রহমান। এসময় তিনি চিৎকার করে কান্না করতে করতে বলেন আওয়ামী সরকারের লেলিয়ে দেয়া পুলিশের গুলিতে আমার নিস্পাপ শিশুর প্রাণ চলে গেছে। আমি এই বর্বর হত্যার বিচার চাই। পরে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন আমাদের এই আয়োজন তথা আলোকচিত্র প্রদর্শনীর কার্যক্রম শুধু সাতমাথা এলাকাতেই নয়, শহর গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও সাধারণ মানুষের মাঝে এসব চিত্র উপস্থাপন অব্যহত থাকবে। আমরা সাধারণ মানুষগুলো মাঝে তুলে ধরতে চাই যে, সৈরাচারী হাসিনা সরকারের নির্যাতন কতটা ভয়াবহ ছিল। অনুষ্ঠানে সংগঠনের আহবায়ক মোঃ আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া শাপলা সুপার মার্কেটের আহ্বায়ক মাহফুজুল হক মোল্লা। এছাড়া অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব এএমজেড শাহরিয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক টিএমএ মামুন, মৃদুল হোসেন, আব্দুল্লাহিদ ত্বাকি, সহকারী সদস্য সচিব জিয়াউর রহমান, আজমির হাসান, এ্যাড. ইজাজ আল ওয়াছি জিম, ডাঃ আব্দুল্লাহ আল সানী, সওকত ইমরান, মাহবুবুর রহমান ও সাহাদত হোসাইনসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা। খবর বিজ্ঞপ্তির