আব্দুর রউফ উজ্জল, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: হেমন্তের শিশির ভেজা সকাল বেলায় খেজুর গাছের রসে ভরা হাঁড়ি নামানোর জন্য গাছিরা এখন খেজুর গাছ ঝুড়তে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যদিও এখন দিনের বেলায় কিছুটা গরম অনুভূত হলেও সকালে ও রাতের শেষ ভাগে পাওয়া যাচ্ছে শীতের আভাস। সামনে আসছে পুরোদমে শীতের মাস আর তাই গাছিরা এখন আগে থেকেই গাছ প্রস্তুতের কাজে অনেকটাই ব্যাস্ত সময় পার করছে। শীতকালে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। শীতের সকালে গ্রামীণ এবং শহরের লোকজন খেজুরের রস খেতেও বেশ পছন্দ করে। এছাড়াও খেজুরের রস দিয়ে শীতকালে গ্রাম ও শহরের মানুষেরা নানা রকমের পিঠা ও পায়েশ তৈরি করে। খেজুরের পাটালী গুড়ও বেশ জনপ্রিয়। শীতকালে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য বিশেষ করে গ্রামের মানুষরা সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে মেয়ে-জামাইদের পিঠা-পুলি খাওয়াতে। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিভিন্ন গ্রাম ও গ্রামের রাস্তা-ঘাটে অসংখ্য খেজুর গাছ রয়েছে।যদিও আগের তুলনায় খেজুর গাছ এখন অনেক কমে গেছে, তাছাড়া জ্বালানির চাহিদায় এবং প্রয়োজনের তাগিদে অনেক খেজুর গাছ কেটে ফেলা হয়েছে তারপরেও যে গাছ রয়েছে সে গাছ গুলো থেকেই প্রতি বছর বিপুল পরিমান খেজুর রস সংগ্রহ করা হয়। খেজুর গাছের রস চুলায় জ্বাল করে পাটালী, লালী ও দানা গুড় তৈরি করা হয়। আর তাই গাছিদের দিয়ে খেজুর গাছের ডাল-পাতা ঝুড়ে হাঁড়ি লাগানোর জায়গা প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং এরই মধ্যে অনেকগুলো গাছে হাঁড়ি লাগিয়ে রস সংগ্রহ শুরুও হয়েছে। নবান্ন উৎসবে গ্রাম-গঞ্জে খেজুর রসের পিঠা ও পায়েশ খাওয়ার ধুম পরে যায়। নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারসহ গ্রামঞ্চল থেকে বিপুল পরিমান খেজুরের পাটালী গুড়, লালী ও দানা গুড় দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। অনেক দুর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা ওমরপুর, কুন্দারহাট, রনবঘা, ও নন্দীগ্রাম হাটে খেজুুরের গুড় ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য আসে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ২নং নন্দীগ্রাম (সদর) ইউনিয়নের ভাদুম গ্রামের গাছি ওয়াহেদ আলী জানান, আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পুরোদমে শীত চলে আসবে তাই একটু আগে থেকেই গাছের ডালপালা কেটে খেজুরের রস নামানোর জন্য গাছগুলো কে প্রস্তুত করে রাখছি।