1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
শেখ হাসিনার সহযোগীরা ব্যাংক খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার সরিয়েছেন : গভর্নর - Uttarkon
রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
উপদেষ্টা পরিষদের ওয়েবসাইটে ৬ সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ বগুড়ায় জাসদের ভেঙে ফেলা কার্যালয় ব্যক্তি মালিকানার দাবি আজ থেকে গাজীপুরসহ সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ মোল্যা নজরুলসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তা আটক গাজীপুরে ডিসি অফিসের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীকে গুলি,সর্বত্র উত্তেজনা মুক্তিযোদ্ধা নন, মোজাম্মেল হলো খুনী ও ধর্ষক ভারতে বসে নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে হাসিনা: মির্জা ফখরুল ৬৪ জেলায় বিএনপির কর্মসূচি ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে গাজীপুরে ‘ভাঙচুর’ ঠেকাতে ছাত্রদের ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা : গ্রেফতার ১৬, থানার ওসি প্রত্যাহার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের প্রেতাত্মাদের ষড়যন্ত্র জনগণকে নিয়ে মোকাবেলা করা হবে: ড. খন্দকার

শেখ হাসিনার সহযোগীরা ব্যাংক খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার সরিয়েছেন : গভর্নর

  • সম্পাদনার সময় : সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪৮ বার প্রদশিত হয়েছে

ক্ষমতা হারানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা তার শাসনামলে ব্যাংক খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ সরিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি আরো জানান, এর মধ্যে এস আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার সহযোগীরাই নিয়েছেন অন্তত ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার। ব্রিটিশ প্রভাবশালী গণমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আহসান মনসুর অভিযোগ করেছেন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা দফতরের (ডিজিএফআই) সাবেক কিছু কর্মকর্তা শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক দখল করতে সহায়তা করেছেন। তিনি জানান, এসব ব্যাংক দখল করে আনুমানিক ২ লাখ কোটি টাকা (১ হাজার ৬৭০ কোটি ডলার) বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে নতুন শেয়ারধারীদের ঋণ দেয়া ও আমদানির অতিরিক্ত খরচ দেখানোর মতো পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। সোমবার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ডিজিএফআইয়ের সহায়তায় কয়েকটি ব্যাংক দখল করার পর এস আলম ও তার সহযোগীরা ‘অন্তত’ ১০ বিলিয়ন বা ১ হাজার কোটি ডলার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ‘বের করে নিয়েছেন’। তার মতে, ‘তারা প্রতিদিনই নিজেদের জন্য ঋণ অনুমোদন করেছেন।’ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাবেক কর্মকর্তা আহসান এইচ মনসুর গত মাসে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন যে শেখ হাসিনার সহযোগীদের বিদেশে থাকা সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করতে তিনি যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা কামনা করেছেন। ব্যাংক খাত নিয়ে তার সর্বশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে ব্যাংকের পরিচালকদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছিল। গভর্নর বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন কিছু সদস্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের ‘তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে’ এবং এরপর হোটেলের মতো জায়গায় নিয়ে যায়। এরপর ‘অস্ত্রের মুখে’ তাদেরকে তাদের শেয়ার ‘মি. এস আলমের কাছে’ বিক্রির জন্য এবং তাদেরকে পরিচালকের পদ ছাড়তে বলেন। ‘একের পর এক ব্যাংকের ক্ষেত্রে তারা এটা করেছে,’ বলেন তিনি। আহসান এইচ মনসুর তার সাক্ষাৎকারে বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে দখল করা হয়েছিল এমন প্রায় ১২টি ব্যাংকের অবস্থা নিরীক্ষা করার পর বাংলাদেশ চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারের পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই নিরীক্ষা প্রতিবেদন দেশে ও দেশের বাইরের আদালতে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করতে চাই।’ শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এসব ব্যাংকের শেয়ার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, লোপাট হওয়া ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা দেশ থেকে যে অর্থ দুবাই, সিঙ্গাপুর বা অন্যান্য স্থানে পাচার করে নিজেদের আয়ত্তে রেখেছেন, তা উদ্ধারের চেষ্টায় আন্তর্জাতিক আইন প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হবে। এদিকে, একটি ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, জোর করে ব্যাংক দখলের প্রক্রিয়ায় তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ২০১৩ সালে ‘তৎকালীন সরকারের সাথে জড়িত লোকেরা’ তার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের পরামর্শমতো পরিচালক নিয়োগ এবং ব্যাংকের একজন বিদেশী পরিচালকের হোটেল রুমে ‘সরকারি সংস্থার সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের’ দ্বারা তল্লাশি চালানো। মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, ২০১৭ সালে তিনি যখন ব্যাংকের পর্ষদ সভায় যাচ্ছিলেন, তখন তাকে একজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এরপর পুরো একটি দিন তাকে আটকে রেখে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। তিনি আরো বলেন, ‘তারা ব্যাংকের জাল কাগজপত্র তৈরি করেছিলেন। আমাকে শেষ পর্যন্ত একটি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল।’ গত দশকে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকিং ব্যবসায় নাম লিখিয়েছে। গ্রুপের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সাতটি ব্যাংকে তাদের ‘উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ’ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। সাইফুল আলমের পক্ষে আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন এমানুয়েল আরকুহার্ট অ্যান্ড সুলিভান একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে এস আলম গ্রুপ জানিয়েছে, গভর্নরের অভিযোগের ‘কোনো সত্যতা নেই’। এতে বলা হয়, ‘এস আলম গ্রুপ ও বাংলাদেশের আরো কিছু শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের সমন্বিত প্রচারণা এমনকি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করার মৌলিক নীতির প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।’ এছাড়া, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মন্তব্যের জন্য তাদের অনুরোধে সাড়া দেয়নি এবং ডিজিএফআইয়ের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies