বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অনেকেই সংস্কার নিয়ে নতুন নতুন কথা বলছেন। বিএনপির কাছে এসব নতুন কিছু নয়। বিএনপি সংস্কার বিষয়ে ৩১ দফা অনেক আগেই ঘোষণা করেছে।শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি -এলডিপির কাউন্সিলে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আমির খসরু বলেন, সময় এসেছে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করার। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী সংস্কার সম্ভব। তিনি বলেন, যে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে। আমীর খসরু আরো বলেন, ১৫ বছর ধরে দেশে কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিল না। এখন সময় এসেছে। দেশের মানুষকে একটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, একটি মুক্ত বাংলাদেশের জন্য যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই মুক্ত বাংলাদেশে বসবাস করার আবার একটা স্বপ্ন আমাদের মনে জেগেছে। হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পরে বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে পরিবর্তন এসেছে। মানুষের আকাঙ্ক্ষা জেগেছে। মানুষের মনে নতুন ভাবনা জেগেছে। আগামীর বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের এই জাতীয় ঐক্য অটুট রাখতে হবে। এই জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমাদের গন্তব্য সূদর করতে হবে। সেই গন্তব্যস্থলটা কোথায়? সেই গন্তব্যস্তল হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা তাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া। তিনি বলেন, এই ১৫ থেকে ১৬ বছর ধরে দেশে জনগণের কোনো ক্ষমতা ছিল না। আওয়ামী সরকার মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে তাদের বঞ্চিত করেছে। এখন সময় এসেছে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার। অর্থাৎ ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সার্বিক ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণকে তাদের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশের অবকাঠামোগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজনৈতিক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। সেগুলো আমাদেরকে একতাবদ্ধ হয়েই সংস্কার করতে হবে বলেও জানান এই নেতা।