বিএনপি চেয়ারর্পারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, ‘গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চলাকালে শেখ হাসিনার নির্দেশে হাজার হাজার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী ও জনতা যারা জীবন দিয়ে শহীদ হয়েছে, তাদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দিবনা। শহীদদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে এ স্বাধীনতা এসেছে। ছাত্র-জনতার রক্ত-ত্যাগের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা এসেছে এই স্বাধীনতা রক্ষা করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শুধু রাজনৈতিক দলগুলো একা এই স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারবে না। দেশের আপামর মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তবে সেই ফায়দা নিয়ে ভারত যাতে আমাদের না ঠকায়। ভারতকে সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হবে।
২৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বগুড়ার গাবতলী নশিপুরের বাগবাড়ীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি জিয়া বাড়ী পরিদর্শন শেষে তিনি উক্ত কথা বলেন। এম এ মালেক বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমিতে এসে আমি ধন্য আমি তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। এরং আরাফাত রহমান কোকো রুহের মাগফিরাত কামনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারর্পাসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘাযু কামনা সহ জিয়া পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। আমরা চাইনা ফেলানীর মত লাশ আমরা চাই না। এম এ মালেক বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে আমরা সময় দিতে চাই। তাঁর নেতৃত্বে দেশে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই আমরা। তারেক রহমান অচিরেই বাংলাদেশে ফিরবেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীতে বাংলাদেশে বিএনপি সরকার গঠন করবে এবং তারেক রহমানই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে। তিনি বলেন, তারেক রহমান কোন ‘ফেভার’ চান না, আইনি লড়াই করবেন। অচিরেই আইনি লড়াই করে দেশে ফিরে আসবেন বীরের বেশে তিনি। ড. ইউনুসের প্রতি বিএনপি আস্থাশীল। ড. ইউনুসের পাশে থেকে সময় দিতে চান আমাদের নেতা তারেক রহমান আমরা আপনাদের গাবতলীতে বাগবাড়ী থেকে আমরা বলতে চাই তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত। সেকারনে অচিরেই বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন বলেও মনে করে বিএনপি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের নেতাকর্মীদের কঠোর পরীক্ষা দিতে হয়েছে– উল্লেখ করে এম এ মালেক বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় নেতাকর্মীরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ১৭ বছর আপসহীন সংগ্রাম করেছে। আমাদের অভিভাবক বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করে অবর্ণনীয় নির্যাতন ভোগ করেছেন। ইনশাল্লাহ তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবুর রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশাররফ হোসেন, সাবেক এমপি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উন নবী সালাম, কেএম খায়রুল বাশার, ড্যাব বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি শাহ মোঃ শাহজাহান আলী, জেলা বিএনপি নেতা শেখ তাহাউদ্দিন নাইম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার, নশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রোকন তালুকদার, বাগবাড়ী শহীদ জিয়া ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল বারী, বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, উপজেলা সমবায় ও ক্ষুদ্র ঋণ বিষযক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম, এমরান হোসেন, আসাদুজ্জামান অটল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আরিফুর রহমান মজনু, শাহজাহানপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, মোস্তফা আহমেদ, আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা, গাবতলী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মহব্বত আলী, যুবদল নেতা আঞ্জু মন্ডল, জাঙ্গীর আলম পটল, রফিকুল ইসলাম লান্টু, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রিয়জুল ইসলাম সবুজ, জিন্নাত আলী, ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান বিল্পব, সুজন আহমেদ, ডিউ তালুকদার, মাসুদ রানা, মোহতাছিন বিল্লা মুন, ডিউ তালুকদার, বিল্পব মিয়া সহ বিএনপির ও অঙ্গদলের নেতৃবৃন্দ প্রমূখ। এরপূর্বে বিএনপি চেয়ারর্পারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বাগবাড়ীতে শহীদ জিয়া ডিগ্রী কলেজ, শহীদ জিয়া রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসনদ ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এবং জিয়াউর রহমান গ্রাম হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন।