1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো ও হত্যা মামলা খারিজ - Uttarkon
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো ও হত্যা মামলা খারিজ

  • সম্পাদনার সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩১ বার প্রদশিত হয়েছে

গ্যাটকো মামলা : গ্যাটকো মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিন জনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহেরের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। অব্যাহতি পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মামলার ২৪ আসামির মধ্যে ৯ জন এরই মধ্যে মারা গেছেন। জীবিত আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী মরহুম কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।

হত্যা মামলা : বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ২০১৫ সালে সারা দেশে ৪২ জনকে হত্যার অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

সেই সঙ্গে আদালত তাদের অভিযোগ থেকেও অব্যাহতি দিয়েছেন।

বাকি তিনজন হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপির তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।

গুলশান থানা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এই আদেশ দেন।

গত ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহীন মোল্লা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা), ৩৪ (সাধারণ অভিপ্রায়) ও ১০৯ ধারায় (সহায়তা) আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

আওয়ামীপন্থী সংগঠন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

ওই মামলার শুনানি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হোসেন গুলশান থানা পুলিশকে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এজাহারে সিদ্দিকী দাবি করেন, ‘খালেদা জিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এবং বাকি আসামিরা ঘটনাগুলোতে উসকানি দিয়েছেন।’

সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে নেতাকর্মীরা যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ৪২ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies