বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার এসিল্যান্ড এর গাড়ী চালক মোঃ শামীমের বিরুদ্ধে প্রতারনার মাধ্যমে জমি দখলের অভিযোগে রোববার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলার শংকরপুর গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনর স্ত্রী স্বপ্না খাতুন। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি আমার স্বামীর অরিশ হিসাবে মুরাদপুরে জমি পাই। আমি এসিল্যান্ড এর ড্রাইভার মোঃ শামীম, পিতা- মৃত দেলোয়ার হোসেন, ও শামীমের সহযোগী মোঃ সাজু মিয়া, পিতা-মৃত ছমসেল হোসেন, সাং- মুরাদপুর, থানা- শিবগঞ্জ, জেলা- বগুড়াদ্বয়কে আমি মুরাদপুর মৌজার ৪৩ শতক জমি খারিজ করার জন্য ৩০ (ত্রিশ হাজার) টাকা দেই। পরবর্তীতে আচলাই মৌজার ২৬ শতক জমি খারিজ করতে চাইলে শামীম আমার নিকট ৪০ (চল্লিশ হাজার) টাকা চায় আমার কাছে টাকা না থাকায় আমি আচঁলাই মৌজার ০৮ শতক জমি নগদ ৪৩,২০,০০০/- (তেতাল্লিশ লক্ষ বিশ হাজার টাকা) চুরান্ত হইলে আমি শামীমের নিকট হতে ২,০০০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা নেই ও সরল বিশ্বাসে ষ্ট্যাপে স্বাক্ষর করি। যাহার মূল্য প্রায় ৪৩,২০,০০০/- (তেতাল্লিশ লক্ষ বিশ হাজার টাকা) সে আমার কাছে দলীল করার কথা বললে তার কাছ থেকে বাঁকী টাকা চাইলে সে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখায়। এবং বলে আমি ভুমি এসিল্যান্ড এর ড্রাইভার জমি কিভাবে নেওয়া লাগে তা আমার জানা আছে সে আরো বলে কোর্ট ও এসিল্যান্ড আমার। সে আমাকে বিভিন্ন মামলার ভয়ভীতি প্রদান করে। গত ১০/০৮/২০২৪ইং তারিখে শিবগঞ্জ থানায় জিডি করি। এলাকায় তাহার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার অভিযোগ আছে এসিল্যান্ড এর পাওয়ার দেখিয়ে মোকামতলা হাট এর জায়গা জোর পূর্বক দখল করা। শংকরপুর এক হিন্দু, লোকের বাড়ী জোর পূর্বক লিখে নেওয়া, মোকামতলা, দেউলী, সৈয়দপুর ইউনিয়ন ইউনিয়ন হতে এসিল্যান্ড এর নাম করে বালু উত্তোলনের চাঁদা নেয় । এলাকায়া কেউ বালু উত্তোলন মাটি কাটলে তাদের নিকট হতে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদান করে চাঁদা নেয়। শিবগঞ্জ থানায় ১২ টি ইউনিয়নের ভুমি অফিস তার কাছে জিম্মি নাম না বলায় এক তসিলদার বলে শামীম জালায় চাকুরী করা অসম্ভব এছাড়া এলাকার কোন ব্যাক্তি জমির বিষয়ে তার নিকট গেলে সে কাজ করে দিবে বলে বিভিন্ন ভাবে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে কাজ করে দিচ্ছি দিব বলে তালবাহনা করে তাদের টাকা আত্তসাৎ করে। এলাকায় বলে বেড়ায় সে কোন জমির সমস্যা হলে আমাকে দিলে আমি তা ঠিক করে দিব। আমি শিবগঞ্জ থানার এসিল্যান্ড। শামীম এক সময় বগুড়ায় রিক্স চালাতে সেই শামীম শিবগঞ্জ থানার এসিল্যান্ড ড্রাইভার হয়ে সে লক্ষ লক্ষ টাকা মানুষের কাছ হতে হাতিয়ে নিয়েছে। একটি ঢালায় বাড়ী করেছে ও প্রায় ৫/৭ বিঘা ফসলী জমি ক্রয় করেছে। সামান্য একজন ড্রাইভার হয়ে এত টাকা সে কোথায় পায় আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এর তদন্ত করিয়া তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবী যানাচ্ছি।”