আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার আদমদীঘিতে বাঙালী হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজাকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা। দুর্গা,গণেশ,কার্তিক, সরস্বতী,লক্ষ্মী, অসুর, প্যাঁচা সহ সব ধরনের প্রতিমা তৈরি শেষে এখন চলছে রংতুলির আঁচড়। শিল্পীর নিখুত ছোঁয়ায় মূর্ত হয়ে উঠেছেন দেবী দুর্গা। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী বুধবার ( ২অক্টোবর) ছিল শুভ মহালয়া। শুভ মহালয়ার থেকে দুর্গা পুঁজার ক্ষণগননা শুরু হয়। তাই বুধবার থেকে শুরু হয়েছে মন্দিরে মন্দিরে মহালয়ার ঘট স্থাপন, বিশেষ পুঁজা, শঙ্খের ধ্বনি,ও চন্দ্রিপাঠের মধ্যে দিয়ে দেবীকে আমন্ত্রন। দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ। এর মধ্যে আছে স্থানীয় প্রশাসন,রাজনৈতিক দল,সেনাবাহিনী,আইন শৃংখলা বাহিনী এবং ছাত্র নের্তৃবৃন্দকে সস্পৃক্ত করা,মন্ডব গুলোতে সেচ্চঅসেবক নিয়োজিত করা,সন্দেহভাজন দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশীর ব্যবস্থা করা,নামাজের সময় মাইক-বাদ্যযন্ত্র না বাজানো,পুজা মন্ডব গুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন সহ ২২ দফা নির্দ্দেশনা দেয়া হয়েছে। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ৬৩ টি মন্ডবে দুর্গাপুঁজা অনুষ্টিত হবে। পুজাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও পুজা উদযাপন পরিষদের প্রস্ততি সভা সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসিত দেবনাথ বাপ্পা ও সাধারন সম্পাদক মিহির কুমার সরকার বলেন, এ বছর উপজেলায় ৬৩ টি মন্ডপে দুর্গাপুজার আয়োজন করা হয়েছে। ২ অক্টোবর বুধবার মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপুঁজার আয়োজন। ৯ অক্টোবর বুধবার মহাষষ্টীর মধ্য দিয়ে ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমী পর্যন্ত পুজা আয়োজন চলবে। আদমদীঘি উপজেলায় শারদীয় দুর্গা পুজা উপলক্ষে ইতি মধ্যে প্রশাসনিক ভাবে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।