পাবনা প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাত ও তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদিন পাবনায় শহীদ ও আহতদের পরিবারের সাথে বাড়িতে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন এবং খোঁজখবর নেন। এ সময় তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রথমে তিনি শহীদ জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে যান, তার পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তার পরিবারকে শান্তনা ও সমবেদনা জানান। এ সময় উপাচার্য আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তাদের যেকোনো প্রয়োজনে উপাচার্যের সাথে যোগাযোগ এবং কোনোকিছু করার বিষয়ে তাদের পাশে থাকবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরে তিনি গোরস্তানে গিয়ে জাহিদুলের কবর জিয়ারত করেন। জাহিদুল পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নে। এরপর উপাচার্য শহীদ জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়িতে যান এবং তার পরিবারের খোঁজ খবর নেন। পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তার পরিবারের জন্য ভবিষ্যতে ভালোকিছু করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। জাহাঙ্গীর একজন ট্রাক চালক। তার বাড়ি ভাঁড়ারা ইউনিয়নে। তিনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় নিহত হন। পরে উপাচার্য গোরস্তানে গিয়ে জাহাঙ্গীরের কবর জিয়ারত করেন। সেখান থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএস আব্দুল আওয়াল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত আরাফাতের বাড়িতে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তার আন্দোলনে যোগ দেওয়া নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। আরাফাত একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। ছাত্র আন্দোলনে বন্ধুদের সাথে গিয়ে ঢাকার গুলশানের নতুন বাজারে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তার বয়স ২০ বছর। পরবর্তীতে উপাচার্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ মাহাবুব হাসান নিলয় (১৩) এর বাড়িতে যান এবং তার পরিবারের সাথে কথা বলেন। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও শান্তনা প্রকাশ করেন। নিলয়ের বাড়ি পাবনার বেতেপাড়া, হাজির হাট এলাকায়। নিলয় সিদ্দিক মেমোরিয়ালের শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে উপাচার্য আরিফপুর গোরস্থানে নিলয়ের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় উপাচার্যের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মনজুরুল ইসলাম ও রোজিনা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।