অব্যাহত ভারী বর্ষনে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়ার তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। বিপৎসীমা অতিক্রম করলে পানিবন্দী হয়ে পড়বে জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার চরাঞ্চলের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। ডিমলা উপজেলার পূর্ব খড়িবাড়ী এলাকার বাসিন্দা বুদারু মিয়া (৩৫) বলেন, ‘নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। আমাদের রাত জেগে থাকতে হবে। কখন যে কী হয় ঠিক নেই।’ ছাতুনামা কেল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, ‘দুপুরে বাড়ির উঠানে পানি প্রবেশ করেছে। আর একটু পানি বৃদ্ধি পেলেই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে। এ বিষয়ে ৭ নম্বর খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: সহিদুজ্জামান সরকার দৈনিক নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘বাইশ পুকুর এলাকায় প্রায় ২ শতাধিক বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সেইসাথে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি ও আবাদি বিভিন্ন ফসল। নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, ‘আজ শনিবার দুপুর ১২টা থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারেজের ৪৪টি গেইট খুলে রাখা হয়েছে।