বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শহিদ ওয়াসিম আকরামের কবর জিয়ারত ও তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ।শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাঘগুজারা বাজার পাড়ায় শহিদ ওয়াসিমের বাড়িতে যান তিনি। এ সময় শহিদ ওয়াসিমের বাবা-মাকে পাশে বসিয়ে তাদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ওয়াসিম আমাকে দেখতে গিয়েছিলেন ভারতের শিলংয়ে। ফিরে আসার দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে ওয়াসিম শহিদ হয়েছেন। ওয়াসিমের মৃত্যু অর্থবহ মৃত্যু। মানুষের মৃত্যু আছে- কিন্তু জাতির মুক্তির জন্য, গণতন্ত্রের জন্য গণবিপ্লবে যারা শহিদ হয়েছেন তারা এ জাতির বীরসন্তান।যতদিন এ দেশ থাকবে, স্বাধীনতা থাকবে ততদিন এ জাতি তাদের স্মরণে রাখবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, ওয়াসিমের মা-বাবাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই। আমি মনে করি, ওয়াসিম এই দেশের দ্বিতীয় শহিদ, এ দেশের গণবিপ্লবে প্রথম শহিদ রংপুরের সাঈদ।সুতরাং ওয়াসিমের বাবা-মায়ের গর্ববোধ করা উচিত। এই যে তাদের রক্তদানের মধ্যদিয়ে এ দেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা পেয়েছে, আমরা নতুনভাবে এদেশের বিজয় দিবস পেয়েছি। সুতরাং আমরা সবাই একেকজন ওয়াসিমের এ চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশের প্রকৃত গণতান্ত্রিক মর্যাদা ফিরিয়ে আনব এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব সুসংহত রাখার চেষ্টা করব। এটাই হবে আমাদের শহিদদের রক্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার একমাত্র রাস্তা। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শহিদ ওয়াসিম আকরাম। গত ১৬ জুলাই বেলা ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের মুখোমুখি সংঘর্ষে ওয়াসিম শহিদ হন। চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান অনুষদে স্নাতক তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন শহিদ ওয়াসিম। তিনি চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।