বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে নানান দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন একই ইউনিয়ন পরিষদের ৬ জন্য সদস্য ও একজন সংরক্ষিত নারী সদস্য। লিখিত বক্তব্যে ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলম বলেন, “চেয়ারম্যান প্রায় ৩ বৎসর পূর্বের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পরে উপজেলা বা বিভিন্ন দপ্তর হইতে বিভিন্ন বরাদ্দ প্রাপ্ত হইবার পরে তাহা সঠিক ভাবে অত্র ইউনিয়নে কাজ না করেই অর্থ আত্মাসাৎ সহ বিভিন্ন অপকর্মের সহিত জড়িত। এছাড়াও গত ২০২৩-২৪ অর্থ বৎসরে মাত্রিতৃকালীন ভাতার ৪০টি বরাদ্দ আসিলেও তিনি আমাদেরকে অবহিত না করে তিনি উহা তাহার নিজের মত করে তালিকা প্রস্তুত করে জমা দেন। তাছাড়াও প্রতিবন্ধি, বয়স্ক, বিধবা ভাতার কার্ড নিজের লোকজন দিয়ে সাধারন মানুষের নিকট হইতে আই.ডি কার্ডের ফটোকপি ও ফিংগার প্রিন্ট নিয়ে সীম উত্তোলন করিয়া উক্ত ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে। যাহার তথ্য ও প্রমাণ আমাদের নিকট রহিয়াছে। আপনারা আরো জানবেন হত দরিদ্র্যের জন্য কর্ম সংস্থান প্রকল্পের লেবার দিয়ে অন্য প্রকল্পের কাজ করিয়া বিলের অর্থ উত্তোলন করিয়াছেন তিনি। বিগত সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের সংস্কারের জন্য সরকার হইতে বিশেষ বরাদ্দের ১০ লক্ষ টাকা আসে। যাহা নামে মাত্র ইউ.পি পরিষদ ভবন কিছু সংস্কার করিয়া তিনি বাদ বাঁকী টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়াও কুতুবপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ধলিরকান্দি এলাকায় রিং বাধ স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয় হইতে প্রকল্প প্রণোনয় কল্পে আমাদের নিকট হইতে নগদ ১০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে সে টাকা গ্রহনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। বিগত ০১ বৎসর যাবৎ পরিষদের কোন কাজে আমাদের সংশ্লিষ্ট বা অবহিত করেন না এমনকি আমাদের ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে কৌশলে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ করেন। আমাদের ইউনিয়নের সরকারী বিভিন্ন ফান্ড হতে প্রাপ্ত অর্থের কোন সঠিক হিসাব কাউকে প্রদান করেন না। এছাড়াও জন্ম ও মৃত্যু সনদ পত্র প্রদানের ক্ষেত্রে উদ্যেক্তার দ্বারা অতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ তাহাকে দিয়ে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কাজ সম্পাদন করেন। আমরা এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করিলে আমাদের মারমুখি আচরন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং অর্থের লোভ দেখিয়ে আমাদের প্রতিবাদ বন্ধ করিতে চান। আরো তাহার বিরুদ্ধে সরকারী গাছ কর্তন সহ দলীয় লোক দ্বারা বাড়ী ঘর ভাংচুরের মত গুরুত্বর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। যাহা ইতিপূর্বে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পাইয়াছে এবং অত্র ইউনিয়নে ভুক্তভোগী জনৈক্য মোঃ মকবুল শাহ্, ০৭ ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাহার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করিয়াছে, যাহা বিচারাধীন। এছাড়াও সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদে আমাদের বিরুদ্ধে হয়রাণী করার জন্য কুতুবপুর পরিষদ ভাংচুর করার মত মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জেলা প্রশাসক, বগুড়া মহোদয় বরাবর গত ইং ০২/০৯/২০২৪ তারিখে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আশা করি জেলা প্রশাসক, বগুড়া মহোদয় উক্ত বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে, দুর্নীতিবাজ, অসাধু, অর্থ আত্মসাৎকারী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করিবেন। সেই সাথে বগুড়া সকল সাংবাদিক মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আমাদের অনুরোধ রইল উপরে উল্লেখিত বিষয় ছাড়াও বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরো যত অপকর্ম রয়েছে, আপনারা উহা তদন্ত করে সংবাদ আকারে প্রকাশ করেন এবং বৈষম্যের কবল হইতে আমাদের কুতুবপুর ইউনিয়ন সহ আমাদের ৭টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা রক্ষার্থে এগিয়ে আসুন।”