জমিজমা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের নিষ্পত্তির জন্য বুধবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া এলাকার মোঃ লেবু ফকির। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘বিবাদী ১। আঃ ছাত্তার মৃধা পিতাঃ মোঃ নফর উদ্দীন ২। মোছাঃ ফতেমা আফসিনা, জং- আঃ ছাত্তার মৃধা, সর্ব সাকিন- চামারী পোঃ সিংড়া, থানা- সিংড়া, জেলা- নাটোর অত্র আদালতের এণাকাধীন জেলা বগুড়া থানা বগুড়া সদর অধীন বগুড়া পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডভুক্ত মৌজা- ঠনঠনিয়া জে, এল নং- ১১৮ নালিশ। সাবেক খতিয়ান নং- ২০৫ সি. এস ভুক্ত জমিদার সেরেস্তায় দাখিলকার সাবেকে আলী ফকির ও ভোলা ফকির উভয়ের পিতা মল্লিক ফকির প্রত্যেকের ।।. আনা করিয়া অংশ একুনে ১ যোল) আনা অংশে সাকুল্য ৭৪ শতক জমি বাবদ যে এক রায়তি স্থিতিবান জোত লেখা যায়। উহাতে উভয়ের স্ব-স্ব অংশের প্রাপ্ত জমিতে এজমালিতে উক্তরুপে দখিলকার নিযুক্ত আছে। অতঃপর উক্তরুপে নালিশী সম্পত্তিতে খোদ মালিক আলী ফকির নিজ অংশে।।, আনা অংশের (৭৪২) = ৩৭ শতক সম্পত্তি এজমালিতে ভোগ দখল করাকালে টাকার আবশ্যক হেতু তাহার প্রাপ্ত সাকুল্য সম্পত্তি বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন লোকের নিকট হস্তান্তর করিয়া নিঃ স্বত্ববান হয় এবং উক্ত আলী ফকির অভাবে তদীয় চার পুত্র যথাক্রমে ময়েজ ফকির, রহিম উদ্দিন ফকির, গোলাম ফকির ও নঈম ফকির বিদ্যমান রহিয়াছে। অতঃপর উক্ত নালিশী সম্পত্তিতে ভোলা ফকির।।. আন্য অংশের ৩৭ শতক সম্পত্তিতে নিযুক্ত থাকাকালে অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন। ভোলা ফকির মৃত্যুবরন করিলে ত্যাক্ত ৩৭ শতক সম্পত্তিতে তাহার চার ভাতিজা যথাক্রমে ময়েজ ফকির, রহিম উদ্দিন ফকির, গোলাম ফকির ও নঈম ফকির প্রত্যেকে ০৯.২৫ শতক করিয়া সম্পত্তি তাহারা ওয়ারিশ হিসাবে বিদ্যমান থাকে। উক্তরুপ অবস্থায় ময়েজ ফকির দিং এর ওয়ারিশগন বাদী হইয়া ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত, বগুড়া একটি বন্টন মামলা দায়ের করে। যাহার নম্বর-৩৯/২০০৭ (বন্টন)। তৎপর উক্ত মামলাটি চলমান থাকাবস্থায় মাননীয় আদালত বাদীগনের পক্ষে গত ইং ১২/০৩/২০১২ তারিখে প্রাথমিক রায় ও গত ইং ১৯/০৩/২০১২ তারিখে প্রাথমিক ডিক্রী প্রদান করেন পরবর্তীতে গত ইং ০৫/১০/২০১৩ তারিখে বাদীগনের পক্ষে কমিশন প্রাপ্ত হইয়া গত ইং ০৩/১১/২০১৪ তারিখে চূড়ান্ত ডিক্রীতে পরিণত হয়। উক্তরুপ অবস্থায় এই বিবাদীগন গত ইং ২২/০৯/২০২২ তারিখে ১১২৮৫ নং দলিল মুলে ১৬/১৭ নং স্কুল মাগলার বিবাদীগনের ওয়ারিশের নিকট হইতে যোগসাজসী ভাবে উক্ত নালিশী দাগে ৬.২৫ শতক সম্পত্তি ক্রয় করিয়া লইয়া আইন বর্হিভুত পৌর প্লান পাস করিয়া উক্ত নালিশী জমিতে জোর পূর্বক বাড়ী ঘর নির্মান করিয়া আসিতেছে। আমি উক্ত আইন বর্হিভুত পৌর প্লানের বিরুদ্ধে বগুড়া পৌরসভায় একটি অভিযোগ দায়ের করিলে অভিযোগটি বর্তমানে তদন্তাধীন রহিয়াছে। নালিশী সম্পত্তিতে বিবাদীগনের কোন স্বত্ব দখল নাই। বিবাদীগন দাঙ্গাবাজ ও চাঁদাবাজ। স্বত্ব দখল বিহীন বিবাদীগন বাদীগনের স্বত্ব দখলীয় নালিশী সম্পত্তিতে বিবাদীগন বাড়ী ঘর নির্মান করিলে তাহাতে আমি বাধা প্রদান করিলে গত ইং ২০/০৯/২৪ তারিখ রোজ: শুক্রবার সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় বিবাদীগন সহ আরো অজ্ঞাত ১৫/২০ জন মাস্তান শ্রেনীর লোকজন লইয়া আমার স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তিতে উপস্থিত হইয়া আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করিয়া খুন জখম করিবে মর্মে দাবান শাসান করিয়া চলিয়া যায়। এমতাবস্থায় উক্ত মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া কালত্বক বিবাদীগন যাহাতে বাদীর স্বত্ব দখলীয় নালিশী সম্পত্তিতে জোর পূর্বক প্রবেশ করিয়া ঘর বাড়ী নির্মান করিতে না পারে কিম্বা বাদীগনের নির্মিত বাউন্ডারী ওয়াল ভাংচুর করিতে না পারে কিম্বা উক্ত নালিশী সম্পত্তিতে Nature and character change করিতে না পারে তাহার জন্য উক্ত সাংবাদিক সম্মেলেনের মাধ্যমে অভিযোগটি দায়ের করিলাম।