বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আয়া পদ ফিরে পেতে মঙ্গলবার সকালে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মোছা: শাহীন আরা। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আয়া পদে শজিমেক হাসপাতাল বগুড়ায় কর্মরত থাকা অবস্থায় আমার স্বামী আব্দুর রশীদকে ব্যক্তিগত কারনে তালাক প্রদান করায় আমার পিতার সহিত মনোমালিন্য হলে তিনি আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এই সুযোগে আমার প্রথম স্বামী আমার পিতাকে মিথ্যা প্ররোচনায় প্রতি হিংসা বশত আমার বিরুদ্ধে আমার কর্মস্থলে অভিযোগ দায়ের করেন। একটি সময়ে আমি সরকারি চাকুরি হইতে সাময়িক বরখাস্ত হই। এমতাবস্থায় আমি হাইকোর্টে রিট পিটিশন করিলে দীর্ঘদিন মামলা চলমান থাকার পর আমি সরকারি চাকুরিতে পুন:বহাল হইবার রায় পাই। উক্ত রায়ের কপিসহ আমার কর্মস্থল শজিমেক হাসপাতালে যোগদান দাখিল করিলে মো: তোফাজ্জল হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) আমার যোগদানে বাধার সৃষ্টি করে সু- কৌশলে আমার নিকট মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। উল্লেখ্য যে, তিনি ক্ষমতার দাপটে বর্তমান প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন এবং পদায়িত প্রধান সহকারি কে সকল দায়-দায়িত্ব হস্তান্তর না করিয়া সরকারি বিধিবর্হিভূতভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও প্রধান সহকারির দায়িত্ব নিজ আয়ত্বে কুক্ষিগত করে রেখেছে এ বিষয়ে পরিচালক মহোদয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে প্রধান সহকারির নিকট সকল ফাইলপত্র বুঝিয়া দেওয়ার মৌখিক নির্দেশ প্রদান করিলেও অদ্যবদি হস্তান্তর করেনি। তার আচরন ও ক্ষমতার অপব্যবহারে অফিসের অন্যান্য কর্মচারীসহ রোগীরা প্রতিনিয়ত বৈষমের স্বীকার হচ্ছে। তিনি পরিচালক, উপ-পরিচালক, বিএমএ, সাচিবসহ ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নেতাদের ম্যানেজ করে সিন্ডিকেট গড়ে টাকার পাহাড় গড়েছেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা চলাকালীন সময়ে আমার চাকুরির যেন কোন ক্ষতি না হয় এই আশ্বাসে কয়েকদফায় মোট ৩,৮০,০০০/- (তিন লক্ষ আশি হাজার) টাকা গ্রহন করেছে। তার স্বাক্ষী আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্য সহ অনেকে আছেন। বর্তমানে আমার চাকুরি হইতে বরখাস্তাদেশ কোর্টের রায় পাওয়া সত্বেও তিনি আমার যোগদানের বাধা সৃষ্টি করছেন। তিনি আমার নিকট আরও টাকা দাবি করছেন যা আমার প্রদান করা সম্ভব নয়। আমি গরীব অসহায় একজন নগণ্য কর্মচারী এবং আমার স্বামী একজন প্যারালাইজড রুগী। বর্তমানে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে অসহায় দিন যাপন করছি। এমতাবস্থায় আমার চাকুরি পুর্ন বহাল করন সহ দূর্নীতিবাজ, বদমেজাজী ও চরিত্রহীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: তোফাজ্জল হোসেন, পিতা: মো: আফরেদ আলী, আদমদীঘি, বগুড়া এর অপসারন সহ বিচার দাবী করছি। সেই সাথে তার সিন্ডিকেটের সকল দূর্নীতিবাজদের অপসারন দাবি করছি। এই বিষয়ে প্রায় ২০০ কর্মচারীর স্বাক্ষর সহ দুদকে অভিযোগ দায়ের করা হলেও অদ্যবধি পরিচালক সহ কোন সংস্থা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। তোফাজ্জলের সিন্ডিকেট হাসপাতালের রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে হেলথ প্লাস ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার খুলে দালালের মাধ্যমে হাসপাতালে আগত গরীব নীরহ রোগীদের ভেগে নিয়ে সর্বশান্ত করে অবৈধ ইনকাম করছেন। ইহাতে কর্তৃপক্ষ দালাল নিধনে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।’