বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জুনায়েদ ইসলাম রাতুলকে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বগুড়া সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে বেলা ১০টার দিকে নামাজগড় আঞ্জুমান-ই গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে তার মৃত্যু হয়। জানাজায় অংশ নেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল, পৌর কাউন্সিলর মেহেদী হাসান হিমু। এছাড়াও পরিবারের পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমান, আমির হামজা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য ফয়সাল আহমেদ, ইমাম হোসাইন ইমনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নেন। গত ৫ আগস্ট বগুড়া শহরের বড়গোলা এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গিয়েছিল উপশহর পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাতুল। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্র-জনতার মিছিল যখন বগুড়া সদর থানার দিকে যাচ্ছিল, ওই সময় পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় রাতুল। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে। এক মাস ২০ দিন চিকিৎসাধীন থেকে সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।