1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত বগুড়ার শিশু শিক্ষার্থী রাতুল চলে গেলো না ফেরার দেশে - Uttarkon
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বগুড়ায় অসুস্থ ও অসহায়দের দেখতে হাসপাতালে সাবেক এমপি লালু গাবতলীতে আওয়ামী সহযোগী সংগঠনের দু’জনসহ ৮জন গ্রেফতার জেলা বিএনপির সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে গাবতলীতে পৌর বিএনপি ও অঙ্গদলের প্রস্তুতিমূলক সভা তিন দফা দাবীতে দুপচাঁচিয়ায় ক্লাস বর্জন করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কালাইয়ে অনাবাদি ও পতিত জমিতে সজনে চাষ নাগেশ্বরীতে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে সাবেক পৌর মেয়র গ্রেফতার আ’লীগ সরকারের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে দেশকে পুনর্গঠন করতে হবে : তারেক রহমান পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না : প্রধান উপদেষ্টা মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক বিফলে: আবারও অবৈধ ভারতীয়দের হাত-পা বেঁধেই ফেরত পাঠাল ‘তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচি পন্ড করতেই পানি ছাড়লো ভারত!

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত বগুড়ার শিশু শিক্ষার্থী রাতুল চলে গেলো না ফেরার দেশে

  • সম্পাদনার সময় : সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩৯ বার প্রদশিত হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলো বগুড়ার শিশু শিক্ষার্থী জুনায়েদ ইসলাম রাতুল। মৃত্যুর সঙ্গে ৪৮দিন পাঞ্জালড়ে অবশেষে হেরে গেলো সে। আজ ভোর ৫টায় রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে রাতুল। বগুড়া উপশহরের হাকির মোড়ের বাসিন্ধা ছিলো রাতুল। ওখানে সে বাবা, মা ও বড় বোনের সঙ্গে থাকতো। উপশহরের পথ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো রাতুল। গত ৫ আগস্ট বিকেলে রাতুলের বড়বোন কলেজ ছাত্রী জেরিন ও ভগ্নিপতি আমির হামজা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেয়। মায়ের বারণ সত্বেও রাতুল নাস্তা না করেই ওদের সঙ্গে গিয়ে স্লোগান দিতে-দিতে বগুড়া সদর থানার অদুরে বড়গোলার কাছে পৌঁছায়। জেরিন জানান- তার পাশেই ছিল রাতুল। হঠাৎ পুলিশের ছোড়া চারটি র্ছরা গুলি এসে লাগে রাতুলের গায়ে, এরমধ্যে একটি লাগে তার মাথায়। গুলিটি তার বাম চোখের মধ্যে দিয়ে মাথার মগজে ঢুকে পড়ে। এরপর পুলিশের ছোড়া আরো অর্ধশতাধিক গুলি লাগে তার শরীরে বিভিন্ন জায়গায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে অজ্ঞান থাকা অবস্থায় রাতুলকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে চিকিৎসকরা তাকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিওরোসাইন্স হাসপাতলে নিতে বলেন। ৪৮ দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে আজ ভোর ৫টায় চিকিৎসাধিন অবস্থার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে কোমল শিশু রাতুল। আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় রাতুলের মৃত্যুর সংবাদ বগুড়ায় পৌঁছায়। তার মৃত্যুর খবরে উপশহরে শোকের ছায়া নেমে আসে। রাতুলের মরদেহ বগুড়ায় আনার জন্য তার বাবা, মা, বোন ও ভগ্নিপতি সবাই ঢাকায় হাসাপাতলে অবস্থান করছেন। রাতুলের বোনবড় জেরিন মোবাইল ফোনে বাসসকে জানান, তাদের আশা ছিল যেহেতু মগজ থেকে গুলি বের করতে সফল অস্ত্রপচার হয়েছে, সেহেতু এ যাত্রা বোধ হয় বেঁচে যাবে তার একমাত্র ভাই রাতুল। তিনি জানান, আমরা এখনও ঢাকায় হাসপাতালে আছি। আমার মা বার-বার মুর্চ্ছা যাচ্ছেন। তাকে সান্তনা দিতে ও লাশ বগুড়া নিয়ে যাবার জন্য ব্যস্ততায় আছি। তাই এই মূহূর্তে আর কোন কিছু কথা বলা যাচ্ছে না। মা রোকেয়া বেগম ছেলের শিয়রে বসে ৪৮দিন দুই চেখের পাতা এক করতে পারেনি। মা ভাবতো- এইবুঝি ছেলে রাতুল ‘মা’ বলে ডাকবে। বুকে জড়িয়ে ধারে আদর করবে। কিন্তু মায়ের ছিল শুধু অপক্ষে আর অপেক্ষা। ৪৮ দিন চোখ মেলে তাকাইনি রাতুল। মায়ের আর শেষ বারেরমত ‘মা’ ডাক শোনা হলো না। মুদির দোকানী বাবা জিয়াউর রহমান জানান, আমার সর্বস্ব বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা করেছি। তবুও সন্তানকে ফিরে পেলাম না।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies