রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি ঃ শষ্য ভান্ডার খ্যাত নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার প্রন্তিক পর্যায়ের চাষিদের স্বপ্নের রোপা-আমন ধানের সবুজের দোল খাচ্ছে। ইতি মধ্যে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের নিচু জমি বাদে রোপা আমন ধান লাগানো সম্ভব্য জমিগুলোতে লাগানো শেষ হয়েছে। অতি বৃষ্টিপাত আর খরার কারণে চাষিরা শেষ মহুর্তে ধান লাগানোর জন্য মাঠে মাঠে সেচ মেশিন চালু করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ১৮হাজার হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান লাগানো হয়েছে। নিচু জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ার কারণে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে আতব জাতের ধান লাগানো চলছে। উপজেলার প্রতিটি মাঠে রোপা-আমন ধান বাতাসে দোল খাচ্ছে। মাঠে মাঠে যতদূর চোখ যায় সবুজ আর সবুজ। নিড়ানি শেষে চাষিরা ধানের ক্ষেত রোগবালাই মুক্ত রাখতে কীটনাশক ছিটানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ধান চাষ হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৮হাজার হেক্টর। মাঠের নি¤œাঞ্চলে পানিগুলো দ্রুত নেমে যাওয়ায় সুযোগ বুঝে চাষিরা আতব জাতের ধান লাগাচ্ছেন। লাগাতার খরার কারণে আগে লাগানো ধানগুলোতে প্রযোজনীয় সেচ দেওয়ার জন্য মাঠে মাঠে গভীর-অগভীর নলকূপগুলো চালু করা হয়েছে। জমিতে পানি দেওয়ার সুযোগ চাষিরা পেলেও ধান চাষের খরচ বৃদ্ধির পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে চাষিরা। পাশাপাশি আতংক রয়েছে নতুন করে বন্যার অশংকা। চলতি রোপা আমন ধানের মৌসুমে প্রায় ১হাজার ৭শ’কৃষকদের বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ সারও বীজ প্রণোদনা প্রদান করা হয়।
হরিশপুর গ্রামের চাষি নূর ইসলাম আব্দুল হামিদ, জাহাঙ্গীর আলম ও মোবারক হোসেনের সাথে কথা বললে তারা জানান, কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে বীজ তলা তৈরি করে কিছুটা আগে ভাগেই ধান লাগিয়েছি। আমাদের ধানগুলো অনেক ভালো হয়েছে। শেষ মহুর্তে প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে আশাকরি ভালো ফলন পাবো। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফারজানা হক জানান, আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার আশা করা যাচ্ছে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে ধান রোপণ করা যাবে। ইতি মধ্যে মাঠ পর্যায়ে জমির শ্রেণী ভেদে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধান লাগানো শেষ হয়েছে। নিচু এলাকার পানি নেমে যাওয়ার কারণে চাষিরা নতুন করে আতব জাতের ধান লাগাচ্ছে। ভালো ফলনের জন্য কৃষকদের প্রতিনিয়ত পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। অনেক কৃষক ভালো বীজ নেয়ার জন্য অফিসে আসে তাদের কে অনেক ভালো মানের বীজ বিনামূলে দেওয়া হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোন রোবালাই নেই। সবকিছু ঠিক থাকলে আশাকরি ভালো ফলন পাবে চাষিরা।