বগুড়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে সদর উপজেলা স্বেচ্ছিাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান (৪০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতক সন্দেহে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বরে) বিকেলে নিহত মিজানের নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়। এর আগে সোমবার রাত ৯টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের সামেন এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত মিজানুর রহমান জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল বগুড়া সদর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। কারা কেন তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। এ ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা মিজানের ঘাতক সন্দেহে লেদো (৪০) নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিলে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তির পর রাত ১১টার দিকে মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিজানুর রহমান সোমবার রাতে গোকুল এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গল্প করছিলেন। লোডশেডিং চলাকালে রাত ৯টার দিকে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে চলে যায়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্বেচ্ছাসেবক দলের বগুড়া জেলা কমিটির সদস্য সচিব আবু হাসান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মিজানুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে৷ ধারণা করা হচ্ছে আধিপত্য নিয়ে বিরোধের কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) সিগ্ধ আখতার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, নিহতের কারণ জানা যায়নি এবং কেউ গ্রেফতার হয়নি।
এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বুগড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর হেনা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।