1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
মণিপুরের আকাশে উড়ছে একের পর এক ড্রোন, নিহত ৫ - Uttarkon
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
শরীর ও মন সুস্থ্য রাখতে খেলাধূলার বিকল্প নাই-গাবতলীতে ফুটবল টুর্ণামেন্টে মোরশেদ মিল্টন বগুড়া পদাতিকের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিে শহীদ বিশালের বাড়িতে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে স্টার্ট-আপ স্ট্যান্ডবাই বয়লার রুমের কার্যক্রম শুরু রাজশাহী মহানগরীতে বনসাই প্রদর্শনী শুরু পাবনায় মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ নানা কর্মসূচির মধ্যেদিয়ে কালাইয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পাঁচবিবিতে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ‘ছাত্র কৃষক কর্ণার’ এর উদ্বোধন বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ চিন্তার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে

মণিপুরের আকাশে উড়ছে একের পর এক ড্রোন, নিহত ৫

  • সম্পাদনার সময় : শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩১ বার প্রদশিত হয়েছে

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের জিরিবাম ও বিষ্ণুপুর জেলায় দফায় দফায় ড্রোন ও রকেট হামলায় ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই দুই জেলায় ড্রোন ও রকেট হামলার পাশাপাশি গোলাগুলিতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন। আকাশে একের পর এক ড্রোন উড়তে দেখে আতঙ্কিত বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘরে ভীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে মণিপুরে বিদ্রোহীদের এই জোড়া নাশকতা ঘুম কেড়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর। এই পরিস্থিতিতে শনিবার থেকে সম্ভাব্য বিদ্রোহী ডেরার সন্ধানে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে মণিপুর পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। ধ্বংস করা হয়েছে বিদ্রোহীদের তিনটি বাঙ্কার। বিদ্রোহী দমন অভিযানের মধ্যেই জিরিবাম জেলায় দু’গোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। গত ১ সেপ্টেম্বর কাংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলে জেলায় বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোনের হামলায় নিহত হয়েছেন দু’জন। আহত হত সাতজন। দু’টি ক্ষেত্রেই হামলা হয় মেইতেই জনগোষ্ঠীর এলাকায়। মণিপুর সরকারের দাবি, কুকি বিদ্রোহীরাই হামলা চালায়। শুক্রবার বিকেলে বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাংয়ে ফিওয়াংবাম লেইকাই এলাকায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মৈরেম্বাম কৈরেং সিংহের বাড়ির চত্বরে আছড়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্র! তার আঘাতে আর রে রাবেই (৭০) নামে স্থানীয় এক বয়স্ক পুরোহিতের মৃত্যু হয়। এছাড়া আরো কয়েকজন আহত হন। সূত্রটি জানায়, যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র ফাটে, সেখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছিল। মেইতেইরা দাবি করছে, কুকিরাই ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। পুলিশের দাবি, স্থানীয়ভাবে তৈরি হলেও উন্নত প্রযুক্তির ওই ক্ষেপণাস্ত্র তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আঘাত হানতে পারে। কুকিরা অবশ্য কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করে পাল্টা দাবি করে, মেইতেই সশস্ত্র বাহিনী আরাম্বাই টেঙ্গলের যোদ্ধাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মেইতেই এলাকায় আছড়ে পড়ে ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে উত্তেজনা বাড়ছে রাজ্যে। এই আবহে বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কুকি সংগঠনগুলোর অভিযোগ, পুলিশ এবং মেইতেই বিদ্রোহীরা সংগঠিতভাবে এলাকা দখলের অভিযানে নেমেছে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে মণিপুর পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিষ্ণুপুর জেলার মুয়ালসাং গ্রামে দু’টি এবং চুরাচাঁদপুরের লাইকা মুয়ালসাউ গ্রামে একটি বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে। সেগুলো কুকি বিদ্রোহীদের ডেরা বলেই দাবি পুলিশের।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরেই জনজাতি সংগঠনগুলো তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সঙ্ঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকিসহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সঙ্ঘর্ষে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। পরে ইম্ফল হাইকোর্ট ওই বিতর্কিত নির্দেশ প্রত্যাহার করলেও শান্তি ফেরেনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে। কারণ, কুকিদের মনে তৈরি হয়েছে নতুন আশঙ্কা। মূলত সমতল এলাকার বাসিন্দা মেইতেইরা মণিপুরের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। অন্যদিকে, কুকি, অঙ্গামি, লুসাই, নাগা, থাড়োয়াসের মতো প্রায় ৩০টি জনজাতি গোষ্ঠীর বাস পাহাড়ি এলাকায়। কুকিদের অভিযোগ, হিংসা থামানোর অজুহাতে মেইতেই প্রভাবিত পুলিশ-প্রশাসনের সহায়তায় ধীরে ধীরে পাহাড়ি এলাকায় জনজাতিদের জমি দখলের অভিযান শুরু করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies