প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ একটি বিশাল পরিবার, এখানে সরকারের দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করা। সোমবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান, যেখানে সবাই নির্ভয়ে তাদের ধর্ম চর্চা করতে পারবে এবং যেখানে কোনো মন্দির পাহারা দেয়ার প্রয়োজন হবে না। রাষ্ট্রীয় অতিথি যমুনায় একদল হিন্দু নেতার উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের কাজ হচ্ছে, প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকতে পারে না। আমরা সমান নাগরিক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর।’ হিন্দু নেতারা জানিয়েছেন, তারা দেশের বন্যাকবলিত অংশে জন্মাষ্টমী উদযাপন স্থগিত করেছেন এবং এই অঞ্চলে খাদ্য ও ত্রাণ পাঠিয়েছেন। হিন্দু নেতারা পুরান ঢাকার পবিত্র মন্দির ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, এটি দেশে একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন এবং সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। হিন্দু মন্দিরের জমিসহ হিন্দুদের সম্পত্তি দখলের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তারা। হিন্দু নেতাদের মধ্যে ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কাজল দেবনাথ ও মনিন্দ্র কুমার নাথ, ইসকনের চারু চরণ ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বাসুদেব ধর ও সন্তোষ শর্মা এবং ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রীতি চক্রবর্তী। সূত্র : ইউএনবি