‘সাংবাদিকতার নামে আওয়ামী লীগ সরকারের যারা দালালিতে লিপ্ত ছিলো তাদের জায়গা বগুড়া প্রেসক্লাবে হবে না। তাদেরকে পেশাজীবিদের প্রাণের সংগঠন থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বহিস্কার করতে হবে। আমরা ‘বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম আন্দোলন’ বগুড়া শাখার পক্ষ থেকে ওই সব দালালদের অবাঞ্ছিত ঘোষাণা করছি। তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করা হবে’। শনিবার দুপুর ১২ টায় বগুড়া প্রসক্লাব চত্ত্বরে ‘বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম আন্দোলন’ বগুড়া শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন মূলধারার সাংবাদিকরা। এসময় তারা আরো বলেন, বগুড়া প্রেসক্লাব নির্মাণের নামে সাবেক সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টু মিলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন মুখ চেনা আরো বেশ কিছু আওয়ামী লীগের প্রকাশ্য দালাল সাংবাদিক। বিগত সরকারের সময় তারা দুস্থ সেজে অসহায় অসুস্থ সাংবাদিকদের জন্য সরকারের বরাদ্দের টাকা পকেটস্থ করেছেন। এসব নিয়ে তাদের মুখের উপর কিছু বলা যায়নি। তারা বিনা ভোটে দীর্ঘদিন জোর করে প্রেসক্লাবের পদ দখল করে ছিলো। দেশ দ্বিতীয় দফায় স্বাধীন হওয়ার পর পেশাদার সাংবাদিকরা তাদের বের করে দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির তদন্তে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে আর্থিক দুর্নীতির নানা তথ্য।
সারা দেশে যেখানে আওয়ামী দালালরা পলাতক অবস্থায় আছে, ঠিক তার বিপরীতে খোদ বগুড়ার মত জায়গায় তারা এখনো নানামূখি ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি তাদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্রেসক্লাব থেকে বিতাড়িত আওয়ামী দালাল ওই সব সাংবাদিকরা শুক্রবার রাতে গোপনে জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশার সাথে মিটিং করেছেন। সেই বৈঠকের ছবিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে রীতিমত।
এসব আওয়ামী দালাল সাংবাদিকদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বগুড়ায় মানববন্ধ ও বিক্ষোভ করেছে ‘বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম আন্দোলন’ বগুড়া শাখা। প্রধান সমন্বয়ক প্রতীক ওমরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমন্বয়ক আব্দুল ওয়াদুদ। বিক্ষোভে সংগঠনের দাবীর সাথে সহমত পোষন করে বক্তব্য দেন বগুড়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বাংলাভিশনের বগুড়া ব্যুরো প্রধান আব্দুর রহিম বগরা এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সাঈদ। বিক্ষোভে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম আন্দোলন’ বগুড়া শাখার সমন্বয়ক নিউনেশনের উত্তরাঞ্চল প্রধান তানভীর আলম রিমন, দৈনিক আমার সুন্দর দেশের প্রকাশক হারুন উর রশীদ তালুকদার, সুমন সরদার, সিনিয়র সাংবাদিক মেহেদী হাসান লিটন, দৈনিক যায়যায় দিনের ইমরান হোসাইন লিখন প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবের বর্তমান আহবায়ক কমিটির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করা হয়। এসময় প্রেসক্লাবের আহবায়ক ওয়াসিকুর রহমান বেচার এবং সদস্য সচিব সবুর শাহ লোটাস বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম আন্ন্দোলনের দাবীদাওয়াগুলো শোনেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি