গাবতলী (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতাঃ চোখের দৃষ্টি হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন দিনমজুর শ্রমিক সাহাদাত হোসেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না বগুড়ার গাবতলী বালিয়াদিঘী ইউনিয়নের তল্লাতলা গ্রামের আজিজার রহমানের পুত্র সাহাদত হোসেন। জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচীতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। গত ৫ই আগষ্ট২৪ বগুড়ার ইয়াকুব আলী মোড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে সাহাদাত হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানসহ চোখের ভিতরে গুলিবিদ্ধ হন। যা এখনো বহন করে যন্ত্রণায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। প্রথমে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে তাকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাহাদাত হোসেনের চোখ রক্ষা করতে হলে অতিদ্রুত তার চোখের অপারেশন করতে হবে। এটা ব্যয়বহুল। দিনমজুর সাহাদাত হোসেনের পক্ষে চিকিৎসার ব্যয় বহন করা মোটেই সম্ভব নয়। তিনি একটি ওষুধের দোকানে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন। তার উপার্জন বন্ধ হওয়ায় এখন তাকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি চোখের পানি মুছে নির্বাক দৃষ্টিতে ছল ছল করে তাকিয়ে আছেন চিকিৎসার জন্য সরকার ও জনগণের একটু সাহায্য কিংবা করুণা পেতে। দরিদ্র পিতা আজিজা রহমান জানান, আমার ছেলেকে অর্থাভাবে সম্পন্ন চিকিৎসা না নিয়েই হয়তো বাড়ি ফিরে নিয়ে আসতে হবে।
স্থানীয়রা জানান, সাহাদত হোসেন ও তার পরিবারের এখন চরম দুঃখ কষ্টে রয়েছে।
তাই আর্থিকভাবে সহযোগিতা করলে দরিদ্র সাহাদাত চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হলে হয়তো পরিবারের হাল ধরতে পারবে। নয়তো চোখ হারিয়ে বাঁকী জীবনটা অন্ধকারে কাটাতে হবে। গুলিবিদ্ধ সাহাদাত হোসেন এর আকুতি বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার যেন তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করে সুস্থ সাহাদাত হোসেনকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন। এছাড়াও সমাজের বৃত্তবানদের তার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে দু চোখের অশ্রু ঝড়াচ্ছেন তিনি। খরচ বহন না করায় তার চোখেরও চিকিৎসা করতে পারেনি। এজন্য তিনি সরকার ও দেশবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।