1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
বন্যায় ১৮ জনের মৃত্যু, ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত - Uttarkon
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ইউনুস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ : রিজভী বগুড়ায় শহীদ ও আহত ছাত্র-জনতার পরিবারের পাশে তারেক রহমান অন্তবর্তীকালীন সরকার সফল তো বাংলাদেশ সফল-মিল্টন হিন্দুস্থান টাইমসের নিবন্ধ: ঢাকা চাইলে হাসিনাকে হস্তান্তর করতে পারে দিল্লি নানা কর্মসূচির মধ্যেদিয়ে গাবতলীতে মরহুম সংসদ সদস্য সিরাজুল হক তালুকদারের ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল আলজাজিরার প্রতিবেদন: বিদেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ৮ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু ১০ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

বন্যায় ১৮ জনের মৃত্যু, ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

  • সম্পাদনার সময় : শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৩ বার প্রদশিত হয়েছে

দেশের ১১ জেলায় চলমান বন্যায় এখনো পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। শনিবার সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: কামরুল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।বন্যা পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে উন্নতি হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ত্রাণ সচিব বলেন, এখন পর্যন্ত বন্যায় আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ১১টি। ‌এসব জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা নয় লাখ ৪৪ হাজার ৫৪৮টি। দুর্যোগ সচিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বন্যায় মোট ১৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় চারজন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, নোয়াখালীতে তিনজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন।’ কামরুল হাসান আরো জানান, এ পর্যন্ত তিন হাজার ৫২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৮ জন দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ত্রাণ কার্যক্রমের বিষয়ে সচিব বলেন, বন্যা দুর্গত ১১ জেলায় মোট তিন কোটি ৫২ লাখ নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ত্রাণের চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২০ হাজার ১৫০ টন। এছাড়া শুকনো ও অন্যান্য খাবারের ১৫ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শিশুর খাদ্য কেনার জন্য ৩৫ লাখ এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময়ে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই ও ধলাই নদীসংলগ্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ একইসাথে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময়ে এই অঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরী, ফেনী, গোমতী ও হালদা নদীসংলগ্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কামরুল হাসান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ৭০টি মেডিক্যাল টিম চালু রয়েছে। ফেনীতে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসকরা সেখানে সেবা দিচ্ছেন। এছাড়া দেশের সব জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, বন্যা আক্রান্ত জেলার প্রশাসককে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, মেডিক্যাল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে সমন্বয় করে একসাথে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তথ্য ও সহযোগিতার জন্য ০২-৫৫১০১১১৫ নম্বর চালু রয়েছে। ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোষ্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ছাত্র সমাজ ও বিজিবি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে‌ বলে জানিয়েছেন সচিব। ত্রাণ সচিব আরো বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বন্যা উপদ্রুত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। উপদেষ্টা বর্তমানে ফেনীতে অবস্থান করছেন। ফেনী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি ভি-স্যাট চালু করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে বলেও জানান তিনি। সচিব বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে মানুষ কিংবা গবাদি পশুর রোগব্যাধি যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি রয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে এবং তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। সূত্র : ইউএনবি

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies