সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে বস্তায় বস্তায় ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ এসেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বলা হচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে ঘুষ হিসেবে বস্তা বস্তা টাকা নেয়া হতো। এ জন্য সাবেক একজন অতিরিক্ত সচিবের যোগসাজশে সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে উপপরিচালক মো: জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে কমিশন একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম। অভিযোগ সংক্রান্ত একটি লিখিত সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয় এবং ঝুঁকি এড়াতে টাকাগুলো দেশের বাইরে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ নিয়োগ বিষয়ক অভিযোগও রয়েছে। ‘জেলায় পুলিশ সুপার নিয়োগে সর্বনিম্ন ৮০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত’ নেয়া এবং ‘সিন্ডিকেটের আশীর্বাদ ছাড়া পুলিশের কেউ কোনো জেলায় বা গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন’ না পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। এনজিও’র ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা ‘এনওসি’ দিতেও ৮০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষের অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) একজন কমিশনার নিয়োগে ৫ কোটি টাকার লেনদেনের বিবরণ তুলে ধরে বলা হয়, এসব ‘টাকা বস্তায় ভরে পৌঁছে দেয়া হতো আসাদুজ্জামান খান কামালের ফার্মগেটের বাসায়’। ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সে নিয়োগ মন্ত্রীর দফতর থেকে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী করার কথাও বলা হচ্ছে। পুলিশের বদলি সংক্রান্ত বাণিজ্যে কামালের ছেলের নামও আছে সেখানে। এসব অভিযোগের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খানের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সূত্র : বিবিসি