পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা সদর উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সাব-রেজিষ্টার ইউসুফ আলী প্রতি দলিলে তার পেশকারের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা নেন এবং কারণে অকারণে মানুষের সাথে খারাপ আচরণের পাশাপাশি আইনের কথা বলে হয়রানি করেন। পাবনা সদর রেজিস্ট্রার অফিসে প্রতিদিন কমবেশী একশ’র মতো দলিল সম্পাদিত হয়। দিনে কয়েক লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করেন সাব রেজিস্টার। বুধবার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে পাবনা জিরো পয়েন্টে সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন শ্লোগান দেন অংশগ্রহণকারী মানুষ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত পাবনা ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের জায়গা গত বছরের জুন মাসে কলেজের নামে দাতা সদস্যের দানকৃত জমি রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলে পাবনা সদর সাব রেজিষ্টার পাবনা জেলা প্রসাশকের অনুমতিপত্র চেয়ে রেজিষ্ট্রেশনের কাজ স্থগিত করে দেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গত বছরের ৫ আগষ্ট পাবনা জেলা প্রশাসকের অনুমতিপত্র চেয়ে আবেদন করা হয়। সেদিন পাবনা জেলা প্রসাশক কর্তৃক অনুমতিপত্র দেওয়া হয়। এসব অনুমতিপত্র ও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) কলেজের নামে দানকৃত জমি রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলে পাবনা সদর সাব-রেজিষ্টার ইউসুফ আলী সকাল হতে বিভিন্ন ধরনের ভুলভাল দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেননি। বক্তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, দলিল লেখক সমিতির নামেও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। এই অফিসে অনেক দুর্নীতিবাজ মুহুরি রয়েছে। তাদের মাধ্যমে প্রতিদিনি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একট দলিল তুলতে গেলেও সেখানেও ঘুষ দিতে হয়। জমি রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলেও আগে উৎকোচ দিতে হয়। এজন্য দ্রুত দুর্নীতিবাজ পাবনা সদর সাব রেজিষ্ট্রার ইউসুফ আলীকে অপসারণের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। সেই সঙ্গে এই অফিসের অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, পাবনা ইউনানি-আয়ুর্বেদীক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, কলেজের প্রভাষক মো:বাকি বিল্লাহ, প্রভাষক হেকিম মুরাদ হোসেন, পাবনা ইউনানি-আয়ুর্বেদীক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সম্পাদক মুক্তার হোসেন ও কলেজটির অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। মানববন্ধন শেষে জেলা সাব রেজিস্টারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত পাবনা সদর সাব রেজিষ্ট্রার ইউসুফ আলী বলেন, আমি অনুমতিপত্র চাইনি তাদের কাছ থেকে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে এগুলো ভিত্তিহীন। পাবনা জেলা সাব রেজিষ্ট্রার দিপক কুমার সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।