বিএনপি সহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ আবারো দেশে নৈরাজ্য ও অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। এজন্য হিন্দু সম্প্রদায় নিয়ে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দর সুইহারিবাজারে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক পথসভায় এ অভিযোগ করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায় আমাদের ভাই। তাদের নিয়ে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তারা (আওয়ামী লীগ) আবারো দেশে নৈরাজ্য ও অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। তাদেরকে (সংখ্যালঘুদের) আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। আওয়ামী সরকার লুটেরা সরকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। এ সরকারকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমরা নাজাত পেয়েছি, আমরা মুক্তি পেয়েছি। আমরা এক ভেল্কিবাজ, ভয়ানক, হত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট, নিষ্ঠুর, নির্যাতনকারী শাসক শেখ হাসিনার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি। ধন্যবাদ জানাই সেইসব বীর তরুণ, ছাত্র-জনতাকে, যারা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন।’ তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি সহমর্মিতা জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কোনো লড়াই-সংগ্রাম এক দিনের জন্য নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অনেক নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে। আমরা তখন থেকেই তাদের এ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে আসছি। আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের ৬০ লাখ লোকের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে। আমাদের প্রায় এক হাজার লোককে গুম এবং তিন হাজার লোককে হত্যা করেছে। বিভিন্ন সময় আমাদের হাজার হাজার লোককে গ্রেফতার করেছে। আপনাদের অনেকে অনেক বার জেলে গেছেন। আমিও আপনাদের সাথে জেলে গেছি।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের দোসরদের নিয়ে এ অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এসময় তিনি শত শত ছাত্র-জনতার হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন। পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অতীতে সরকারের নির্দেশে যা করেছেন, তা ভুলে যান। এখন জনগণের সাথে কাজ করুন। জনগণকে শত্রু মনে করবেন না, জনগণকে আর গুলি-নির্যাতন করবেন না।’ পথসভায় দিনাজপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া, জেলা পরিষদের সদস্য চিরিরবন্দর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো: নূর-এ-আলম সিদ্দিকী নয়ন, খানসামার ভাবকী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম তুহিন, গোয়ালডিহি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন লিটন, দিনাজপুর জেলা নেতৃবৃন্দসহ খানসামা ও চিরিরবন্দর উপজেলার বিএনপি, ছাত্রদল, কৃষকদল, তাঁতীদল ও বিভিন্ন অঙ্গদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।