অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নিজের হাতে থাকা ২৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। সোমবার সকাল সোয়া ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এই বৈঠক হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান যমুনায় প্রবেশ করেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে সোয়া ১১টায় বের হয়ে যান। সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানে উপস্থিত একজন। সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বৈঠকের বিষয়ে বলেন, স্বচ্ছ জবাবদিহিতামূলক পরিবেশ যাতে থাকে, দেশের তরুণ সমাজ যে বিষয়গুলো সমনে নিয়ে এসেছে-বিশেষ করে সচ্ছতা এবং সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর কাজগুলো যেন যত্ন সহকারে করা হয় এ বিষয়গুলোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের হাতে যেসব দপ্তর আছে- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; শিক্ষা মন্ত্রণালয়; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; খাদ্য মন্ত্রণালয়; গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; ভূমি মন্ত্রণালয়; বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; কৃষি মন্ত্রণালয়; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; রেলপথ মন্ত্রণালয়; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়; পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়। সেদিন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং ১৩ জন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ নেন। পরে রোববার আরও দুই উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন।১৭ সদস্যের এই অন্তর্বর্তী সরকারের একজন অপারেশন জ্যাকপটে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশে ফেরার পর তার শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক এত হত্যা, এত নিপীড়ন, এত নির্যাতন এবং এত ছাত্রকে হত্যা করার পরও সেই দলটি আবারও বিভিন্নভাবে কথা বলছেন, যা বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যায়। আমরা মনে করি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আমরা মনে করি এই সরকার অবশ্যই সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলবে। কিন্ত, ছাত্র হত্যাকারীর সঙ্গে নয়। যারা ছাত্রদের হত্যা করেছে, শিশুদের হত্যা করেছে, রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করেছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণ আছে এবং এই ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাব।’