অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে যে সময়টুকু লাগবে, সেই সময়টুকু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেবে বিএনপি।সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমরা কোনো কথা বলিনি। কারণ, আমরা আগেই বলেছি- নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে যে সময়টুকু লাগবে, সেই সময় আমরা তাদেরকে অবশ্যই দেব। বর্তমানে দেশের যে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে, যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তোলা হচ্ছে, এইগুলোতে যেন জনগণ বিভ্রান্ত না হয় এবং জনগণ যেন পূর্বের মতোই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রেখে, জননিরাপত্তাকে অক্ষুন্ন রেখে চলতে পারে, তারা যেন সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়। আমরাও পুরোপুরিভাবে তাদেরকে সহায়তা করব।’ বৈঠক প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। গণতন্ত্র হত্যাকারী ফ্যাসিস্ট সরকার, যারা দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষকে নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে, মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে যে অত্যাচার নির্যাতনের ফ্যাসিস্ট রুল কায়েম করেছিল তার থেকে মুক্তি পেয়ে মুক্ত পরিবেশে আমাদের সঙ্গে বসেছেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তারা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। এখন আমরা মনে করি এই সরকারকে সহায়তা করা দেশের প্রতিটি মানুষের কর্তব্য।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা এই দেশকে শোষণ করেছিল, যারা এই দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল তারা আজ বাংলাদেশের বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য চক্রান্ত শুরু করেছে। এখানে তথাকথি মাইনরিটির ওপর হত্যাকাণ্ডের যে একটা গল্প বানানো হয়েছে, এই গল্পটা পুরোপুরিভাবে উদ্দেশ্যমূলক। বাংলাদেশকে ব্যালাইন করা, এই সরকারকে ব্যালাইন করা, ছাত্রজনতার আন্দোলনকে একেবারে নস্যাৎ করে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে।’