৯ বছর পর দেশে ফিরছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ। রোববার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছান তিনি। এর আগে সকালে ভারতে একটি বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক সিনিয়র নেতা, কর্মী এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিমানবন্দরে তাকে রিসিভ করেন। এর আগে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছিলেন, ট্রাভেল পাসে (ভ্রমণ ভিসা) সালাউদ্দিন আহমেদ দেশে ফিরছেন। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ৬২ দিন পর একই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলং থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। তখন ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। সালাহউদ্দিন পুলিশের হাতে আটক হলে বৈধ নথিপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয় সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ে ২০১৮ সালে সালাহউদ্দিন খালাস পান। ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে তাকে সেখানেই থাকতে হয়। ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আপিলেও খালাস পান সালাহউদ্দিন এবং আদালত তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এরপর ওই বছরের ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যে সরকারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তার বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন। ভ্রমণ অনুমোদন পেলে তিনি বাংলাদেশে পরিবারের কাছে ফিরতে চান। সালাহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন রাজনীতিবিদ, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এবং কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি দলের মুখপাত্র ছিলেন।