বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইতোমধ্যে দুষ্কৃতিকারীরা রাজধানীসহ দেশব্যাপী পরিকল্পিত অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বাড়ি-ঘর, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি, হামলা, ভাংচুর ও লুটতরাজে লিপ্ত হয়েছে। কয়েকটি জেলায় সংখ্যালঘুদের বসতবাড়ি, দোকানপাটে আক্রমণ চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অনেককে ভয় দেখিয়ে বাড়ি ও এলাকা ছাড়া করার মতো সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত দুষ্কৃতিকারীদের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রেখে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনকে যাতে কেউ নিজ হাতে তুলে নিতে না পারে সেজন্য গণতন্ত্রকামী মানুষ সার্বিক সহায়তা প্রদান করবেন। দেশকে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তকে প্রতিহত করতে হবে। বৃহস্পতিবার দলটির সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ দিনের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং নিরন্তর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে মুক্ত নিঃশ্বাস নেয়ার পরিবেশ। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দুর্বার আন্দোলনে অভূতপূর্ব সাফল্যের ফলশ্রুতিতে দেশ আজ ফ্যাসিবাদ মুক্ত। বৈষম্যবিরোধী যৌক্তিক আন্দোলনে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সাহস ও দৃঢ়তায় গণমানুষের বহু কাঙ্খিত প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বাস্তবায়নের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয়কে সংহত করে দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ যাতে আন্দোলনের অর্জিত বিজয়কে বিকৃত করতে না পারে সেদিকে গণতন্ত্রকামী মানুষকে সতর্ক থেকে একযোগে তা প্রতিহত করতে হবে। শান্তির সমাজ গড়তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যে অঙ্গিকার সেটি সার্থক করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, সুযোগ সন্ধানী অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে হবে, কেউ যাতে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে সম্পর্কে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে সাবধান থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্মকারীরা যাতে পার পেতে না পারে সেজন্য সার্বক্ষণিক পাহারা দেয়ার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। মির্জা ফখরুল বলেন, নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টাকারীদের সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অপতৎপরতাকারীদের সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া গেলে সেটি তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য এলাকাবাসী ও দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।