সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রতিবাদ সমাবেশ সংগঠনের সভাপতি গনেশ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সাধারন সম্পাদক এস এম আবু সাঈদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও অবিভক্ত বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ওয়াসিকুর রহমান বেচান, বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক মীর সাজ্জাদ আলী সন্তোষ, বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রেজাউল হাসান রানু, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুর রহীম বগ্রা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য মীর্জা সেলিম রেজা, সিনিয়র সাংবাদিক সবুর শাহ লোটাস, আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র সাবেক সাধারন সম্পাদক এম আর শাইন, সিনিয়র সাংবাদিক রাহাত রিটু, বাদল চৌধুরী, রেজাউল হক বাবু, বগুড়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বগুড়া ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রহীম, জহুরুল ইসলাম, মোস্তফা মোঘল, আব্দুস সাত্তার, প্রতীক ওমর, আব্দুল ওয়াদুদ, শামীম আহম্মেদ, মাহফুজ মন্ডল, জেড এ মিলন, শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত বগুড়া প্রেসক্লাব কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে। একটি গোষ্ঠী সাংবাদিকদের এই প্রতিষ্ঠানকে পৈতৃক সম্পত্তি বানিয়ে পেশাদার সাংবাদিকদের বছরের পর বছর সদস্যপদ না দিয়ে বঞ্চিত করেছে। নির্বাচন না দিয়ে বছরের পর বছর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে। এখন সবকিছুর হিসাব কড়ায়-গন্ডায় বুঝিয়ে নেওয়ার পালা। সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া পেশাদার সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে কোন আপোষ করবেনা। অবিলম্বে প্রেসকøাবের অবৈধ কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, বিনা ভোটের সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার করে হয়রানি করেছে। অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেফতারকৃত সাংবাদিকের মুক্তি দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। সমাবেশে কয়েকজন সাংবাদিকের বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
সমাবেশ থেকে বগুড়া প্রেসক্লাব সংস্কারের লক্ষ্যে আগামী ৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তলবী সভা আহ্বান করা হয়েছে। সকল সদস্যকে যথাসময়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।