ফেনী শহরের মহিপালে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গুলিতে ছয় শিক্ষার্থী ও এক অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছে। এ সময় শতাধিক আহত হয়েছে। রোববার বেলা ১১টা থেকে আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা মহিপালে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় শহরের ট্রাংক রোডে জড়ো হয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বেলা পৌনে ২টার দিকে তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহিপালে হামলা চালায়। সরকার দলীয়দের মুহুর্মুহু গুলি বর্ষণে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত সাতজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইসতিয়াক আহমদ শ্রাবণ, সাঈদুল ইসলাম, শাকিব,শিহাব উদ্দিন, বিপ্লব ও আরাফাতের নাম পাওয়া গেছে। তাদের সবার বয়স ২০ থেকে ২২ বছর। এছাড়া অপর নিহত হলেন অটোরিকশাচালক সাইফুল। এছাড়া আহতদের মধ্যে ২৫ জন সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ সময় বাংলাভিশনের প্রতিনিধি রফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পুরো শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গোলাগুলি শেষে হামলাকারীরা শহরে ফিরে গেছে আর মহিপালে অবস্থান করছে আন্দোলনকারীরা।