সরকারের পদত্যাগের এক দাবিতে চলমান অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে ঘোষণা করা দুই দিনের নতুন কর্মসূচিতে একটু পরিবর্তন এনেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী- সোমবার (৫ আগস্ট) নারী ও শ্রমিক সমাবেশ এবং মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের। তবে লং মার্চ টু ঢাকা মঙ্গলবারের (৬ আগস্ট) পরিবর্তে সোমবার (৫ আগস্ট) করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এক জরুরি সিদ্ধান্তে আমাদের ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ৬ আগস্ট থেকে পরিবর্তন করে ৫ আগস্ট করা হলো। অর্থাৎ আগামীকালই সারা দেশের ছাত্র-জনতাকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আজ প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্র-জনতার প্রাণহানি হয়েছে। চূড়ান্ত জবাব দেয়ার সময় এসে গেছে। বিশেষ করে আশপাশের জেলাগুলো থেকে সবাই ঢাকায় আসবেন এবং যারা পারবেন আজই ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়ে যান। ঢাকায় এসে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা রাজপথগুলোতে অবস্থান নিন।’
আসিফ মাহমুদ আরো বলেন, ‘চূড়ান্ত লড়াই, এই ছাত্র নাগরিক অভ্যুত্থানের চূড়ান্ত স্বাক্ষর রাখার সময় এসে গেছে। ইতিহাসের অংশ হতে সকলে ঢাকায় আসুন। যে যেভাবে পারেন কালকের মধ্যে ঢাকায় চলে আসুন। ছাত্র-জনতা এক নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটাব।’এর আগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান অসহযোগ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে সোমবার সারাদেশে শহীদদের স্মরণে শহীদ হওয়ার স্থানসমূহে শহীদ স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হবে। এদিন বেলা ১১টায় শাহবাগে শ্রমিক সমাবেশ এবং বিকেল ৫টায় শাহবাগে নারী সমাবেশ হবে। এছাড়া সারাদেশে বিক্ষোভ ও গণঅবস্থান কর্মসূচি করবেন শিক্ষার্থীরা। এতে আরো বলা হয়, এ কর্মসূচি অনুযায়ী সারাদেশের ছাত্র, নাগরিক, শ্রমিকসহ সব পেশাজীবীদের ঢাকায় আসার আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই দিন দুপুর ২টায় শাহবাগে গণজমায়েত কর্মসূচি করবেন তারা। এছাড়া সব পাড়া-মহল্লা, গ্রাম, উপজেলা, জেলায় ছাত্রদের নেতৃত্বে সংগ্রাম কমিটি গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। চলমান এ কর্মসূচির মধ্যে যদি ইন্টারনেট শাটডাউন করে ক্র্যাকডাউন চালানো হয়, তবুও নতুন কমিটি করে সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।