1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
পাট কাটা ও আঁশ ছাড়ানোতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে তাড়াশের চাষিরা - Uttarkon
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২২ অপরাহ্ন

পাট কাটা ও আঁশ ছাড়ানোতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে তাড়াশের চাষিরা

  • সম্পাদনার সময় : শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০২৪
  • ৮২ বার প্রদশিত হয়েছে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ এলাকার মাঠে মাঠে পাটকাটা, জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়ানো, শুকানো এবং বিক্রি করা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার কৃষকেরা । জানা গেছে, এ বছর পাট চাষের অনুকুল পরিবেশ থাকায় এবং সরকারি প্রণোদনার সার বীজ পেয়ে উপজেলায় ব্যাপক হারে পাট চাষ করেছে কৃষক । প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয়েছে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, গত বছরে ২শ ১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল। কিন্তু এবার ৫শ ৯৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে । এবার কয়েকটি উন্নত জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। যেমন দেশি, তোষা, মেশতা, রবি-১ মহারাষ্ট্র জাত। পাটের দাম বেশি পেলে চাষিরা পাট চাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিন বলেন, এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে লাঙ্গল , বীজ, সেচ, কাটা, পরিষ্কার করা, সারসহ যাবতীয় খরচ হয় ৬ হাজার টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর পাট উৎপাদন হচ্ছে ৬ থেকে ৭ মণ। উপজেলার হামকুড়িয়া গ্রামের কৃষক মোহারম আলী বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে পাট চাষা করেছি । ইতিমধ্যে পাট কাটা শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন তার দুই বিঘা জমি পাট চাষ করতে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারে পাটের দাম ভালো পেলে লাভ হবে। আমবাড়ীয়া গ্রামের মোজাম্মেল হক নামে আর এক কৃষক বলেন, পাট চাষ করলে জমির অনেক উপকার হয়। একদিকে বিঘাপ্রতি প্রায় ৬ থেকে ৭ মন হারে পাট হয় এবং ১২০০ হাতা পাটখড়ি পাওয়া যায়। যা বিক্রি করে অনেক টাকা লাভ হয়।
একই সাথে পাটের পাতা জমিতে পড়ে পঁচে যাওয়ার কারনে কম্পোষ্ট সার তৈরি হয়।এতে জমির মাটির গুনাগুন বৃদ্ধি সহ রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে আসে।সবদিক থেকে পাট চাষ লাভজনক। হামকুড়িয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, সরকারিভাবে খাদ্য বিভাগ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান পাটের ব্যাগ ব্যবহার করে না। বিভিন্ন মিল কারখানার উৎপাদিত পন্য পাটের তৈরি ব্যাগে সরবরাহ করা হলে, পাটের ভাল দাম পেত কৃষক। তিনি আরও বলেন দেশে পাটের তৈরি পন্য উৎপাদন ও পাটের তৈরি পন্য ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে তিনি মনে করেন। তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পাট চাষ অনেক লাভজনক। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে পাট চাষের জন্য কৃষকদের মাঝে সরকারি প্রণোদনার বীজ, সার দিয়ে কৃষকদের পাট চাষে উৎসাহিত করেছি। বাজারে পাটের ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে। আগামী দিনে কৃষকরা পাট চাষে আরো আগ্রহী হবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies