ছাত্রজনতা হত্যার বিচারসহ নয় দফা দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার ছাত্রজনতার অংশগ্রহণে বগুড়ায় পালিত হয়েছে গণমিছিল। পুলিশ কোনো বাধা না দেয়ায় কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয়েছে। এতে ছাত্র ছাড়াও সাংবাদিক, আইনজীবী, ডাক্তার, শ্রমিক, কৃষক ও ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ যোগ দেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি মোতাবেক খণ্ড খণ্ড মিছিলে অংশ নিয়ে প্রায় পাঁচ-ছয় হাজার শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা তাদের অবস্থান থেকে দূরে সরে গিয়ে সমাবেশের সুযোগ দেন। তবে এ সময় সোনাবাহিনীর সদস্যদের সাতমাথা এলাকায় দেখা যায়নি। ছাত্রজনতা মিছিল শেষে প্রায় ২ ঘণ্টা শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা স্থান করে আবার মিছিল সহকারে ফিরে যান। এ সময় ওই মিছিলে মা বাবা, ছেলে, মেয়ে একইসাথে দেখা গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সেখানে সতর্ক পাহারায় ছিল গরম পানির ট্যাংক, এপিসি কারসহ আধুনিক সরঞ্জমাদি। একটানা বৃষ্টিতে ভিজে মিছিলকারীরা কাক ভেজা পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থীদের স্লোগান ছিল, এই মুহূর্তে দরকার, সেনাবাহিনীর সরকার, আমার ভাই মরলো কেন সরকার জবাব চাই, ইত্যাদি। প্রথম দফায় বিকেল পৌনে ৩ টায় মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা সাতমাথায় সমবেত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। প্রায় দেড় ঘন্টা অবস্থান করে শেরপুর রোড ধরে ফিরে যায়। দ্বিতীয় দফাতে বিকেল ৫ টার দিকে শহরের সার্কিট হাউস রোড ধরে বিক্ষোভকারীরা শহরে প্রবেশ করে। বিক্ষোভকারীরা স্লোগানে স্লোগানে সাতমাথা মুখরিত করে রাখে। বিক্ষোভকারীরা সাতমাথাস্থ ট্রাফিকস্ট্যান্ডে‘র উপর উঠে জাতীয় পতাকা উড়ায়। আজ বিক্ষোভকারীরা মাথায় লাল , সবুজ কাপড় বেধে বিক্ষোভে অংশ নেয়। অনেকের হাতে জাতীয় পতাকা ছিলো।