1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
ডিবি থেকে ছাড়া পেয়েই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা সমন্বয়কদের - Uttarkon
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
মরহুম সংসদ সদস্য সিরাজুল হক তালুকদার এর আজ ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী একনেকে ১ হাজার ২২২ কোটি ১৪ লাখ টাকার ৪টি প্রকল্প অনুমোদন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু, একদিনে ৬ জনের মৃত্যু হাসপাতাল থেকে বাসায় খালেদা জিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেয়া প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করা হবে : প্রধান উপদেষ্টা আমরা সরকারকে সময় দিতে চাই : মির্জা ফখরুল গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি-সাংবাদিকদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে : নাহিদ ইসলাম গুটি কয়েক মানুষ ছাড়া স্বৈরাচার হাসিনার সময় সবাই বৈষম্যের শিকার হয়েছে : নজরুল ইসলাম সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল পাবে জনগণ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাভারে হাসিনার বিরুদ্ধে একই দিন ২টি হত্যা মামলা

ডিবি থেকে ছাড়া পেয়েই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা সমন্বয়কদের

  • সম্পাদনার সময় : বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪
  • ৪২ বার প্রদশিত হয়েছে

মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ডিবির হেফাজতে ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক- মো. নাহিদ ইসলাম, মো. সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম। ডিবি অফিস থেকে ছাড়া পেয়ে কয়েকজন সমন্বয়ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের বক্তব্য দিয়েছেন। ফেসবুকে পোস্ট দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। পোস্টের মাধ্যমে তিনি আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। পোস্টে তিনি লেখেন- ‘এই আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া শেষ ব্যক্তিটি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউই মুক্ত নই। এই গণগ্রেপ্তার গণঘৃণার নামান্তর। আমাদের মুক্তি তখনই সম্পূর্ণ হবে, যখন এই আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া শেষ ব্যক্তিটিও মুক্তি পাবেন। এই গণগ্রেপ্তার কেবল নিরপরাধ মানুষের অধিকার হরণ নয়, বরং আমাদের সমগ্র সমাজের ওপর চাপিয়ে দেওয়া একটি নিষ্ঠুরতার প্রতিফলন। এটি মুক্তচিন্তা ও মানবাধিকারের প্রতি এক ভয়ানক আঘাত। আমাদের এই আন্দোলন শুধুমাত্র ব্যক্তির মুক্তির জন্য নয়, বরং বৈষম্য, নিপীড়ন, গণগ্রেপ্তার এবং ছাত্র নির্যাতনের বিরুদ্ধে। এই আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া শেষ ব্যক্তিটি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। ’আন্দোলন নিয়ে পোস্ট দেন সাজসি আলমও। তিনি লেখেন- ‘কথা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করবেন না, মামলা দিয়ে হয়রানি করবেন না। আপনারা কথা রাখেননি। আপনারা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর আঘাত করেছেন। সারা দেশে আমার স্কুল কলেজের ভাইবোনদের ওপর লাঠিচার্জ করেছেন ৷ যাকে ইচ্ছা তাকে জেলে পাঠিয়েছেন। আন্দোলনকারীকে খুঁজে না পেলে বাসা থেকে ভাইকে তুলে নিয়েছেন, বাবাকে হুমকি দিয়েছেন! মাশরুর তার উদাহরণ। যারা একটিবারের জন্যও এই আন্দোলনে এসেছে তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারে না, গ্রেপ্তারের ভয়ে থাকে ৷ এমন অনেকে আছে যাদের পরিবার এখনো তাদের খোঁজ পায়নি। এমন তো হওয়া উচিৎ ছিল না! কোথায় মহাখালীর সেতু ভবন আর কোথায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়! অথচ আপনারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে মহাখালীর সেতুভবনে হামলার জন্য গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিলেন। সাথে আছে আসিফ মাহতাব স্যার, মাশরুরসহ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অসংখ্য শিক্ষার্থী। রিকশা থেকে নামিয়ে প্রিজন ভ্যানে তুলছেন, বাসা থেকে তুলে নিয়ে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন ৷ আমার বোনদের রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছেন। কি ভাবছেন? এভাবেই সবকিছু শেষ হয়ে যাবে?
৬ দিনের ডিবি হেফাজত দিয়ে ৬ জনকে আটকে রাখা যায় কিন্তু এই বাংলাদেশের পুরো তরুণ প্রজন্মকে কীভাবে আটকে রাখবেন? দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছেন প্রতিনিয়ত সেগুলো কীভাবে নিবৃত করবেন?
পুলিশ ভাইদের উদ্দেশ্যে একটা বলি। এ দেশের মানুষের ক্ষোভ আপনাদের ওপর নয়, পুলিশের ওপর নয়। এই ক্ষোভ আপনার গায়ের ওই পোশাকটার ওপর। যে পোশাকটাকে ইউজ করে বছরের পর বছর আপনাদের দিয়ে এ দেশের অসংখ্য মানুষকে দমন-পীড়ন করা হয়েছে, অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে, জেল আর আদালতের প্রাঙ্গণে চক্কর কাটানো হয়েছে, সেই পোশাকটার ওপর। ওই পোশাকটা ছেড়ে আসুন আমাদের সাথে, বুকে টেনে নিব।
এ পথ যেহেতু সত্যের পথ, ন্যায়ের পথ, তাই যেকোনো কিছু মোকাবিলা করতে আমরা বিন্দুমাত্র বিচলিত নই ৷ যতদিন না এ বাংলাদেশ আন্দোলনকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে; গণগ্রেপ্তার, জুলুম, নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে; ততদিন এ লড়াই চলবে। ’
আসিফ মাহমুদ লিখেছেন- ‘বেআইনিভাবে আটক রাখা থেকে মুক্তির দাবিতে গত মঙ্গলবার রাত থেকে ৩২ ঘণ্টা আমরণ অনশনে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, নাহিদ ইসলাম ও আবু বাকের মজুমদার। এ সময় তারা কোনো প্রকার খাবার, পানি, ও চিকিৎসা নেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও সমন্বয়কদের অনশনের মুখে আজ দুপুর ১টার দিকে ৬ সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ’
নুসরাত তাবাসসুমের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তার ফুফাতো বোন মেহের আফরোজ। নুসরাতের ফেসবুক থেকে তিনি লিখেছেন- ‘নুসরাত তাবাসসুমকে ডিবি অফিস থেকে ফেরত পেয়েছি আমরা। ৩২ ঘণ্টা অনশনের ফলে শারীরিক মানসিকভাবে নুসরাত দুর্বল। সে বর্তমানে কারও সাথে যোগাযোগ করার অবস্থায় নেই। সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে নুসরাত তাবাসসুম আপনাদের সাথে যোগাযোগ করবে। সকল প্রতিবাদী কণ্ঠকে আপনাদের দোয়ায় রাখবেন।
মেহের আফরোজ

নুসরাত তাবাসসুমের ফুফাতো বোন’
নাহিদ ও আবু বাকের এখনও নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানাননি।
এর আগে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের সমন্বয়কদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিবি লালবাগের ডিসি মশিউর রহমান। তিনি বলেন, দুপুরে ছয় সমন্বয়ককে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার আগে ৬টায় ডিবি কার্যালয় থেকে ফোন দিয়ে সমন্বয়কদের পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে প্রথমে নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তুলে নেয় ডিবি। পরদিন সন্ধ্যায় সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়ে আসে ডিবি। রোববার ভোরে মিরপুরের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তুলে আনা হয় নুসরাত তাবাসসুমকে। এর পর থেকে তারা মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে ছিলেন।
ডিবি দাবি করেছিল, সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies