চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে নতুন অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) নিয়ে যে প্রাথমিক পরিকল্পনা হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত করা হয়েছে। প্রাথমিক আলোচনা স্থগিত করার কারণ হিসেবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছে ইইউ। আলোচনাটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ব্রাসেলস থেকে পাওয়া বার্তার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ইউএনবিকে বলেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে সেপ্টেম্বরে নতুন অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) নিয়ে প্রথম দফার আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে।’ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, আলোচনা শুরুর নতুন তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন শুরু হবে। তাই নভেম্বরে বাংলাদেশ আলোচনাটি করতে আগ্রহী। একটি অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা (পিসিএ) চুক্তি ইইউ ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে আইনত বাধ্যতামূলক চুক্তি। পিসিএর মাধ্যমে ইইউ একটি দেশের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সমর্থন করার জন্য কাজ করে। পিসিএ সাধারণত ১০ বছরের জন্য সম্পাদন করা হয়। এর পরে কোনো আপত্তি উত্থাপিত না হলে এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতি বছর বাড়ানো হয়। সম্প্রতি রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, তারা আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের সাথে মৌলিক সম্পর্কের গভীরতার ক্ষেত্রে ‘ধাপ পরিবর্তন’ করতে চাইছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সাথে বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আগামী পাঁচ বছরে আমরা আমাদের সম্পর্কে সত্যিকার অর্থে এক ধাপ পরিবর্তন দেখতে পাব।’ ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, নতুন অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির (পিসিএ) মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইইউর মধ্যকার সম্পর্ক পরিচালিত হবে। সূত্র : ইউএনবি