‘গুলির সঙ্গে কোনো সংলাপ হয় না, এর চেয়ে আমার মৃত্যুই ভালো।’ বলে মন্তব্য করেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আলোচনার প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুকে ব্যক্তিগত আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গুলির সঙ্গে কোনো সংলাপ হয় না। এই রক্তের সঙ্গে বেইমানি করার থেকে আমার মৃত্যু শ্রেয়।’ এর আগে অন্য আরেকটি ফেসবুক পোস্টে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় দেশবাসীকে ওয়াইফাই উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় দেশবাসীকে ওয়াইফাই উন্মুক্ত করে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন মোকাবিলায় এগিয়ে আসুন।’ আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দখলে নেওয়ার সরকারি বাহিনীর অপচেষ্টার উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঘের বাচ্চারা। আপনারা যেই উদ্যম নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন তা বাকিদেরও উজ্জীবিত করবে। সরকারি বাহিনীর হামলার কঠোর জবাব দেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যে নৃশংসতা সরকারি বাহিনীর পক্ষ থেকে করা হচ্ছে এর কড়া জবাব দেওয়া হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই বোনদের ঝরানো রক্তের জবাব দেওয়া হবে। দমন-পীড়নের যে পথ সরকার অবলম্বন করছে এটা সমাধানের পথ নয়। আমাদের বারবার সংঘাতের পথে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা কোনো সুফল বয়ে আনবে না। ছাত্র-জনতার লিমিট পুশ করার চেষ্টা বুমেরাং হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সংসদ ভবনের টানেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সরকার কোটা সংস্কারের পক্ষে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীরা যখনই চাইবে তাদের সঙ্গে সরকার বসতে রাজি আছে বলেও দাবি করেন তিনি। সরকার আদর্শিকভাবে কোটা সংস্কারের পক্ষে যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলাটি আদালতে আছে। তাও সর্বোচ্চ আদালতে। আদালতে যখন মামলার শুনানি শুরু হবে সরকার পক্ষ কোটার ব্যাপারে একটা প্রস্তাব দেবে। আমরা যেহেতু কোটা সংস্কারের পক্ষে প্রস্তাব দেব। সেজন্য আপনারা বলতে পারেন আমরা (সরকার) কোটা সংস্কারের পক্ষেই আছি।