1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
মার্তিনেজের গোলে আর্জেন্টিনার ইতিহাস - Uttarkon
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
সবাই ঐক্যবদ্ধ না থাকলে ৫ আগস্টের অবমাননা হবে : প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে যেন ফাটল সৃষ্টি না হয় : সালাহউদ্দিন মাগুরার কর্মী সমাবেশে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান: সমর্থন দিন, স্বপ্নের মানবিক দেশ গড়ব ইনশাআল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাড্ডা-রামপুরা-বনশ্রীর শহীদদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলো আমরা বিএনপি পরিবার জুলাই অভ্যুত্থানের ৮৩৪ জন শহীদের গেজেট প্রকাশ ১৭ বছর পর কারামুক্ত লুৎফুজ্জামান বাবর চাটমোহর মহিলা ডিগ্রি কলেজে তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত আওয়ামী জাহেলিয়াত দেশে ধর্মীয় শিক্ষা ও কুরআন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন নস্যাৎ করতে চেয়েছিল : মাওলানা আব্দুল হক নওগাঁয় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের আন্ত: জেলা বৈঠক অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জের রৌহা মাদার তলা খালের উপড় ব্রীজের দাবী এলাকা বাসীর

মার্তিনেজের গোলে আর্জেন্টিনার ইতিহাস

  • সম্পাদনার সময় : সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪
  • ৮৯ বার প্রদশিত হয়েছে

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ আর গ্যালারির গগণবিদারি চিৎকারে তখন আগুন ঝরছে মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে। এমন সময়ে অনেকটা মাঝমাঠ থেকে বল বাড়ালেন জিওভান্নি লো সেলসো। ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে কিছুটা এগিয়ে কোনাকুনি শটে কলম্বিয়ার স্বপ্ন গুড়িয়ে দিলেন লাওতারো মার্তিনেস। স্নায়ুক্ষয়ী লড়াইয়ে জিতে ইতিহাস গড়ল আর্জেন্টিনা। কোপা আমেরিকার ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধে লিওনেল মেসি চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লেও মনোবল হারায়নি আর্জেন্টিনা। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে কলম্বিয়ার ২৮ ম্যাচের অজেয় যাত্রা থামিয়ে ১-০ গোলে জিতেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরে আর্জেন্টিনার এটি টানা দ্বিতীয় ও রেকর্ড ১৬তম শিরোপা। এতদিন ১৫টি শিরোপা নিয়ে উরুগুয়ের সাথে রেকর্ডটা ভাগাভাগি করে আসছিলেন মেসি-দি মারিয়ারা। লাতিন আমেরিকার প্রথম দল হিসেবে টানা তিনটি বৈশ্বিক বড় শিরোপাও জিতল তারা। ২০২১ কোপা আমেরিকার পর ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ। আর এবার ২০২৪ কোপা আমেরিকা- লাতিন আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে টানা তিনটি বড় শিরোপা জিতল আর্জেন্টিনা। ইউরোপে এই অর্জন আছে শুধু স্পেনের। ২০০৮ ও ২০১২ সালে ইউরো জয়ের মাঝে তারা ২০১০ সালে জিতেছিল বিশ্বকাপ। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে তিন বছরে বিশ্বকাপ ও দুটি কোপা আমেরিকার ফাইনালে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। এবার তিন আসরের তিনটি ট্রফিই ঘরে তুলল তারা। মাঝে টানা ২৮ বছর কোনো শিরোপার স্বাদ না পাওয়া দলটি এবার চার বছরে পেল তিনটি সাফল্য। আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটি ছিল দি মারিয়ার শেষ ম্যাচ। ম্যাচের ৯৭তম মিনিটে তাকে তুলে নিয়ে নিকোলাস অতামেন্দিরকে নামান কোচ। এসময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন ৩৬ বছর বয়সী দি মারিয়া। আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটি তার ১৪৫তম ম্যাচ। এমন দিনে ম্যা অব দা ফাইনালও হয়েছেন তিনি। ম্যাচের প্রথমার্ধে চোট পাওয়ার পরও অস্বস্তি নিয়েই খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মেসি। কিন্তু দ্বিতীর্য়ার্ধে কলম্বিয়ার শারীরিক ফুটবলের সঙ্গে লড়ে আর পেরে ওঠেননি। ৬৫তম মিনিটে অধিনায়ক বন্ধনী বিশ্বাস্ত সতীর্থ দি মারিয়ার হাতে তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন কান্নাভেজা চোখে। তার জায়গায় নামেন স্ট্রাইকার নিকোলাস গনসালেস। সাইডলাইনে বসে ছোট্ট বালকের মতো অশ্রু ঝরাতে দেখা যায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মহানায়ককে। ম্যাচে দারুণ ফুটবল খেলেছে কলম্বিয়া। আর্জেন্টিনাকে চুল পরিমান ছাড় তিতে চায়নি তারা। প্রথমার্ধে তো আর্জেন্টিনাকে সেভাবে পাওয়াই যায়নি ম্যাচে। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ ভাগ থেকে ম্যাচ জমে ওঠে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে। শেষ দিকে আক্রমণে বেশি কার্যকর ছিল আর্জেন্টিনাই। ম্যাচে ৫৬ শতাংশ বলের দখল ছিল কলম্বিয়ার অনুকূলে। ১৯টি শটের চারটি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে তারা। তবে পোস্টের নিচে ছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বস্ত এমিলিয়ানো মার্তিনেস। ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৬টায়। কিন্তু কলম্বিয়ান উগ্র সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয় নিরাপত্তাকর্মীদের। কয়েক দফায় পিছিয়ে ম্যাচ শুরু হয় প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে। আর্জেন্টিনা শুরুই করেছিল মানসিকভাবে পিছিয়ে থেকে। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্তারের মা, আলেহান্দ্রো গার্নাচোর ভাইসহ একাধিক খেলোয়াড়ের স্বজনরা আটকে ছিলেন উগ্রপন্থী কলম্বিয়ান সমর্থকদের মাঝে। খেলা শুরুর আগে নিজের মাকে নিরাপদে স্টেডিয়ামে নিয়ে আসতে লকাররুম ছেড়ে বেরিয়ে পর্যন্ত আসেন ম্যাক অ্যালিস্তার। সুযোগ যে আর্জেন্টিনাও পায়নি তেমন নয়। হুলিয়ান আলভারেজের একটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মেসির একটি শট আলভারেজের পায়ে বাধা পেয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায়নি। নিকোলাস তালিয়াফিগোর হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।৩৪তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণে ওঠে বল নিয়ে বাম প্রান্ত দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে যান মেসি। কিন্তু শট নেওয়ার সময় ভয়ঙ্কর ট্যাকেলে আঘাত পান আর্জেন্টাইন দলপতি। লম্বা সময় মাঠে চলে শুশ্রুষা। উৎকণ্ঠা ভর করে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মধ্যে। পরে অস্বস্তি নিয়ে খেলা চালিয়ে যান অধিনায়ক। প্রথমার্ধ শেষে শুরু হয় কলম্বিয়ান গায়িকা শাকিরার স্টেজ শোয়। গানের মুগ্ধতায় মাতিয়ে রাখেন পুরো স্টোডিয়াম।

৫২তম মিনিটে বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা। খুব কাছ থেকে হেডে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন দিয়াস। ৫ মিনিট পর বাম প্রান্ত দিয়ে দারুণ ক্ষিপ্রতায় বল নিয়ে এগিয়ে কোনাকুনি শট নেন দি মারিয়া। ঝাপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন কলম্বিয়া গোররক্ষক।

৬৫তম মিনিটে আবারও আঘাত পান মেসি। এবার আর চালিয়ে যেতে পারেননি। অধিনায়ক বন্ধনী বিশ্বাস্ত সতীর্থ দি মারিয়ার হাতে তুলে দিয়ে মাঠ ছাড়েন কান্নাভেজা চোখে। তার জায়গায় নামেন স্ট্রাইকার নিকোলাস গনসালেস। ৭২তম মিনিটে গনসালো মন্তিয়েরে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন স্পট কিকে পারদর্শী নাহুয়েল মলিনা। ৭৪তম মিনিটে জালে বল পাঠায় আর্জেন্টিনা। উদযাপন শুরু করতেই অফসাইডের পতাকা তোলে রেফারি। হতাশ হতে হয় লা আলবাসিলেস্তে সমর্থকদের। চেষ্টা চালিয়েও নির্ধারিত সময়ে পরে আর কেউ জালের দেখা পায়নি। অতিরিক্ত সময়ের সপ্তম মিনিটে আলভারেজের বদলি নামেন মার্তিনেজ। ৫ মিনিটের মাথায় আসরে নিজের ৫তম গোল করে দরকে এনে দেন কাঙ্খিত জয়। আসরে সর্বোচ্চ গোল তারই। বাকি সময়ে ব্যবধান ধরে রাখাই যেন ছিল আর্জেন্টিনার মূল চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে কলম্বিয়ার ফুটবলারদের সঙ্গে লেগেও গিয়েছিল আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের। রেফারি শান্ত করেন। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে ফেটে পড়ে আর্জেন্টিনা শিবির।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies