মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: সরকারের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ বলেছেন, গ্রামের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন আনাই ছিল বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ও পরিকল্পনা। গ্রাম বাংলার গরিব-দুঃখী, শোষিত কৃষক-জনতার মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সমবায় ভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। কৃষিতে সমবায় ভিত্তিক কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। কৃষিতে সমবায় ভিত্তিক কাজ করতে পারলে কৃষির সম্মিলিত উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব। এছাড়াও টেকসই উন্নয়নে সমবায় ভিত্তিক চাষাবাদ করতে হবে। কৃষি সমবায় সমিতি গঠন করতে হবে। ন্যায্য মূল্যে ক্রয়-বিক্রয়ের লক্ষ্যে এই উপজেলায় সমবায় মার্কেট স্থাপন করা হবে। রোববার (১৪ জুলাই) সকালে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগ, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, সমাজসেবা অফিস, পাট অফিস, উপজেলা পরিষদ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় শিক্ষাবৃত্তিসহ নগদ অর্থ, গবাদি পশু, চার্জার ভ্যান, সেলাই মেশিন ও সিট কাপড়, শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল, স্প্রে মেশিন, পাট বীজ, সার ও কীটনাশক বিনামূল্যে বিতরণ করেন প্রধান অতিথি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ। এসময় তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার দেশকে খারাপ অবস্থায় রেখে গেছিলো। ১৯৯৬ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আপামর জনসাধারণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ শুরু করলেন। এরপর ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু হলো। আহত নেতাকর্মীদের দেখতে হাসপাতাল গুলোতে ছুটে বেড়াতেন আজকের প্রধানমন্ত্রী। সেসময় হাসপাতালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চিকিৎসা নিতে দেয়া হতোনা। সংসদীয় এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ইতোমধ্যে ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। রাজশাহী অঞ্চলের ৪১০ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। পৌরসভা এলাকার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও বাস্তবে ভগ্নদশা। পৌরসভার উন্নয়নে ইতোমধ্যে ২২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বীকৃতি প্রামাণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক শরিফুজ্জামান শরিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ফিরোজ, পৌর মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু ও অফিসার ইনচার্জ খায়রুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, সরকারি দপ্তরের দপ্তর প্রধান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকারের সুবিধাভোগী সহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।