বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশকে ভারতের নতুন উপনিবেশ বানানোর চেষ্টা চলছে। রেল চুক্তির মাধ্যমে করিডোর দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে সরকার। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।
শনিবার (১৩ জুলাই) ওলামা দলের আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নয়াপল্টনস্থ ভাসানী ভবনে এ পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রিজভী বলেন বলেন, ‘১৯৫ জন সফরসঙ্গী নিয়ে চীন সফরে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। শূন্যহাতে তিনি দেশে ফিরেছেন। চীনের কাছে ২০ বিলিয়ন ডলার চেয়েছিলেন, ১ বিলিয়ন ইউয়ানের আশ্বাস পেয়েছেন। ২০ বিলিয়ন ডলার চেয়ে খালি ঝুড়ি নিয়ে ফেরত এসেছেন।’ তিনি বলেন, ‘জুলাই মাস হলো আমাদের আমের মৌসুম, আর দেশে এখন দুর্নীতি ফাঁসের মৌসুম চলছে। আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠদের নাম প্রতিদিন পাওয়া যাচ্ছে। আজিজ, বেনজীর, মতিউর, আবেদ আলীদের নাম গণমাধ্যমে ফাঁস হচ্ছে। কিন্তু এখনো রাঘব বোয়ালদের নাম আসেনি। সরকারের মধ্যে এখনো হাজারো আজিজ-বেনজীর রয়ে গেছে।’
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাদ দিলেন। শিক্ষার্থীরা কোটা বাদ নয় সংস্কার চেয়েছিল। কিন্তু সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কোটা বাদ দিয়ে এখন ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে আবার কোটা বহাল করল আদালতের মাধ্যমে। বিষয়টিকে ‘আদালতের মাধ্যমে নিজের খায়েস পূরণ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘যে দম্পতির বিয়ে হয়েছে স্বাধীনতার পর তার সন্তান নাকি এখন মুক্তিযোদ্ধা! এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরি দিতেই আবারো কোটা বহাল করেছে সরকার। শুধুমাত্র ছাত্রলীগকে চাকরি দিতেই তা করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। এখানে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত আলেম ওলামারা নেতৃত্বে রয়েছেন। আলেম-ওলামাদের বাদ দিয়ে কোনো ইতিহাস রচনা করা যাবে না। কিন্তু এই বর্তমান ডামি নির্বাচনের সরকার আলেম-ওলামাদেরও নিপীড়ন থেকে রেহাই দিচ্ছে না। যাদেরকে এ সরকার সন্দেহ করে তাদের নামে বার বার মামলা দিচ্ছে। মামলা থেকে আলেম-ওলামারাও বাদ যায় না। মসজিদের ইমামরাও বাদ যায়নি। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে কেউ মোনাজাত করলে তাকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে।’